মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীরউত্তমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
গত বছরের ২৫ আগস্ট ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। পরে তার মরদেহ বাংলাদেশে এনে রাজধানীর রাজারবাগ শ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার তার পারিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষ শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ও মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। প্রাথমিক শিক্ষা শিলংয়ে শুরু হলেও পরে তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে চলে আসে হবিগঞ্জে।
১৯৫১ সালে যোগ দেন তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে আসালংয়ে একটি কম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করে।
১৯৭১ সালে বার্ষিক ছুটি ভোগ করতে এসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। ২৫ মার্চেই পাকিস্তানি বাহিনীকে মোকাবেলা করতে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট অভিমুখে যুদ্ধযাত্রা শুরু করেন। ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দেন।
সি আর দত্ত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ রাইফেলস) প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্তরঞ্জন দত্ত ১৯৭৩ সালে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এ ছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীর উত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।
বার্তা কক্ষ , ২৫ আগস্ট ২০২১
এজি