প্রথম ধাপে চাঁদপুরে টিকা পাবে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। ৩১ জানুয়ারি রোববার থেকে জেলায় টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে জেলার জন্য ৭ হাজার ২শ’টি ভায়াল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ভায়াল থেকে ১০জনকে টিকা দেয়া যাবে। সে হিসেবে ৭২ হাজার জনকে এসব ভায়াল থেকে টিকা দেওয়ার কথা। তবে সিস্টেম লস বাদ দিয়ে ৬৯ থেকে ৭০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সাথে চাঁদপুরেও টিকা দেওয়া শুরুর কথা রয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ শুক্রবার রাতে জানান, চাঁদপুরে করোনার টিকা সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুর জেলা ইপিআই ভবনের বিশেষ কোল্ড স্টোর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৪জন ঊর্ধ্বতন চিকিৎসা কর্মকর্তা ঢাকা থেকে টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন অতি সম্প্রতি। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় পর্যায়ে টিকা প্রদানে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা।
তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলার জন্য ৭ হাজার ২০০টি ভায়াল বরাদ্দের বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। প্রতিটি ভায়াল থেকে ১০জনকে টিকা দেয়া যাবে। তবে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো কোনো ভায়াল থেকে ৯জনকেও দেওয়া হতে পারে। সে হিসেবে উল্লেখিত ভায়াল থেকে ৬৮-৭০ হাজার লোককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যারা অগ্রাধিকার পাবেন তাদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। অধিকাংশ সেক্টর থেকে তালিকা এসে গেছে। আরো তিনটি সেক্টরের তালিকা পেলে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা সম্ভব হবে।
রোববার সন্ধ্যায় মধ্যে চাঁদপুরে টিকা পৌঁছার কথা রয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা দেওয়া শুরুর ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। (প্রবাহ)
২৯ জানুৃয়ারি, ২০২১