একটু আলাদা ধরনের মানুষই বেশি ভালো লাগে। যারা নিজেকে বেশি শো করে তাদের আমার পছন্দ না। করপোরেট টাইপের লোক পছন্দ। ৯-৫ অফিস করতে পছন্দ করে এ ধরনের মানুষ আর কি!
আজ থেকে তিন বছর আগের কথা। দিনটি ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি। তখন মিডিয়াতে কাজ করি বছর খানেক হয়েছে। এদিন কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। তখন একজন লোকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। প্রথম দেখাতেই তাকে আমার ভালো লেগে যায়।
কথোপকথনও সুন্দর ছিল। কথা বলেই ভালো লেগেছিল। হয়তোবা সে ওভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেননি। সে দেখতে ইয়াং এবং সুন্দর। যখন আমরা বিদায় নিব তখন তিনি বলেন, ‘প্লিজ আমার বাসায় বেড়াতে এসো। তোমার ভাবিকে বলে রাখব।’ এটা শুনে আমিতো অবাক! আসলে আমি তাকে দেখে বুঝিনি সে বিবাহিত।
আমি যখন এইচএসসি পরীক্ষা দিব তখন আমার এক বন্ধুর সঙ্গে উত্তরায় কোনো একে লোকেশনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ও কথা একটু কম বলে। তখন বন্ধুটি আমার হাতে একটি চিঠি দিয়েছিল। এটা আমাকে ভ্যালেনটাইনে গিফট করেছিল। চিঠিটা পেয়ে বললাম আল্লাহ ছেলেটা আমাকে এত বেশি ভালোবাসে! এত সুন্দর করে কবিতা লিখে ফেলল!
পুরো কবিতাটা নীল রঙে কালিতে লেখা ছিল। লেখায় এতটাই বিরহ ছিল যে, একবার পড়েই আমার ভালো লেগে যায়। তখন আমি চিন্তা করি, ছেলেটা না জানি কতটা রোমান্টিক। তখন আমি গান খুব একটা শুনতাম না। পরে জানতে পারি চিঠির লেখাটি একটি গানের কথা।
ছোট সময়ের এ স্মৃতিগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। এরপর অনেক বড় কিছু হয়েছে কিন্তু অতটা ভালো লাগেনি।
আমি কখনো কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দিইনি। কারণ আমি প্রস্তাব দেয়ার আগেই প্রস্তাব পেয়ে যেতাম। আমার প্রোপোজ করার সুযোগই পাইনি।
এখন যত প্রোপোজ পাই তা সবই ভক্তদের কাছ থেকে। ছয় ফিট বাই আট ফিটের একটা পেইন্টিং গিফট পেয়েছি। এটা অনেক সুন্দর। এই মুহূর্তে ছেলেদের থেকে মেয়েদের ভালোবাসা বেশি পাচ্ছি।