Home / বিনোদন / ‘প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিলো খুব ভয়ংকর’
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিলো খুব ভয়ংকর

‘প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিলো খুব ভয়ংকর’

‘প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিলো খুব ভয়ংকর’ ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পর রীতিমতো হাত-পা কাঁপছিল। অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতে ভয় পাচ্ছিলাম।’ নিজের প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর গল্প এভাবেই শোনালেন ‘ভোলা তো যায় না’ ছবির নায়িকা তানহা তাসনিয়া।

রফিক শিকদার পরিচালিত ছবটি শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে। এ উপলক্ষেই মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন তানহা। ছবিটির নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। আলাপের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

ঢাকাই সিনেমায় আপনার অভিষেক হচ্ছে কেমন লাগছে?

অনেক আনন্দ হচ্ছে। প্রথম ছবি মুক্তির আনন্দটা উপভোগ করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি নার্ভাসও লাগছে। হাজার হাজার দর্শকের সামনে হাজির হতে যাচ্ছি তাই ভয় ভয় লাগছে। একদিকে আনন্দ লাগছে অন্য দিকে ভয়ও লাগছে।

নিজের ছবি দেখতে কোন কোন হলে যাবেন?

ছবির পুরো টিম নিয়েই কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ঘুরব। দুপুর ৩টায় হাজির হবো আনারকলি সিনেমা হলে আর সন্ধ্যার শো দেখব শাহীন সিনেমা হলে। দর্শকদের আবেগ উচ্ছ্বাস দেখতে সবাই মিলে প্রেক্ষাগৃহে ঘুরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?

ছবির নির্মাতা রফিক শিকদারের নিজের লেখা উপন্যাস ‘পদ্মা পাড়ের পার্বতী’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে মৌলিক গল্পের এই সুন্দর ছবিটি। ছবির উপস্থাপনাও গতানুগতিক নয়। সব মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা অনেক।

এটা আপনার অভিষেক সিনেমা। এ সিনেমার মধ্য দিয়েই প্রথম সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। ওই দিনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল খুব ভয়ংকর। ঢাকা ইউনিভার্সিটির জিয়া হলের সামনে আমরা শুটিং করছিলাম। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পর রীতিমতো হাত-পা কাঁপছিল। অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতে ভয় পাচ্ছিলাম। এই কাঁপাকাঁপি চলে ৩-৪ দিন। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।

শুটিংয়ের কোনো মজার ঘটনা মনে আছে?

তখন শীতকাল। রাত ১টার দিকে আমাকে আর নিরবকে নামতে হয়েছে পুকুরের মধ্যে। আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ঠাণ্ডা পানির মধ্যে শুটিং করেছি। আরো একটি ঘটনা হলো— এ সিনেমাতে অনেক কান্নার দৃশ্য আছে। আমি রিয়েল লাইফে খুব কম কাঁদি। তাই সহজে আমার কান্না আসতো না। কান্না না আসার কারণে পরিচালকের অনেক বকা খেয়েছি। বকাঝকা খেয়ে কেঁদেছি। এক কথায়-এই ছবির জন্য অনেক কাঁদতে হয়েছে।

সব মিলিয়ে প্রথম ছবিতে নিজের অভিনয় নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

আমি তো আসলে অভিনয় পারি না। তাই ছবিতে অভিনয় করার চেষ্টাও করিনি। ছবিটিতে আমার চরিত্রটিকে বাস্তব ভাবে, নিজের ভেতর থেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি খুব খারাপ হয়নি। বাদবাকিটা দর্শক বলবেন, তাদের কেমন লেগেছে।

আপনার কো-আর্টিস্টদের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চান?

অনেক সহযোগিতা পেয়েছি তাদের। নির্মাতা রফিক শিকদার তার দক্ষতা দিয়ে আমাকে অভিনয় করিয়ে নিয়েছেন। নায়ক নিরবসহ আমার প্রত্যেক কো-আর্টিস্ট অনেক হিলফুল ছিল। আমরা একটা পরিবার হয়ে দিনের পর দিন শুটিং করেছি।

সবশেষে দর্শকদের উদ্দেশে কী বলবেন?

গল্পটি খুব কাছের একটি গল্প। যেমন আমরা দেখে আসছি- ‘ভালোবাসা বার বার টাকার কাছে হার মানে।’ অনেক সময় সমাজ দুজন ভালোবাসার মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমার বিশ্বাস সবার ভালো লাগবে ছবিটি।

বিনোদন ডেস্ক||আপডেট: ০৮:০৬ অপরাহ্ন, ১৮ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার

এমআরআর