ইদানিং নাকি তাঁকে বেশ সম্মান দিচ্ছে বলিউ়ড। বদলে যাচ্ছে তাঁর প্রতি ব্যবহারও। তাকে আর পর্ণতারকা মনে করা হচ্ছে না। অভিনেত্রী হিসেবেই বলিউডে তার জায়গা তৈরি হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন সানি লিওন।
সানির কথায়, ”আগে আমি আর আমার বর ড্যানিয়েল যেখানেই যেতাম লোকে আমাদের অন্য নজরে দেখত। আমাদের সঙ্গে মিশতে চাইতো না। কিন্তু এখন অবস্থাটা বদলেছে।”
২০১২-তে ‘জিসম-২’ দিয়ে বি-টাউনে এন্ট্রি হয় সানির। তখন দর্শকমহলে তাকে নিয়ে আগ্রহ যেমন ছিল তেমনি ছিল সমালোচনা। অধিকাংশ মানুষই তাঁকে পর্ণ তারকার বাইরে কিছু ভাবতে পারতেন না। রাখি সাওয়ান্ত তো সুযোগ পেলেই সানির চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়েন। অবশ্য এ জন্য কাউকে দোষ দিতে চান না নায়িকা। সানি বলেন, ”আমি আসলে কারুর সঙ্গে মিশতে পারতাম না। কোনও পার্টিতে যেতাম না। ভীষণ লাজুক ছিলাম। তাই লোকে যে আমাকে ভুল বুঝত তার দোষটা বোধহয় আমারই।”
অবশ্য কোন সমালোচনাই গায়ে মাখেননি সানি। হয়ত নিজেকে শুদ্ধ করার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি। সমালোচনা এড়িয়ে একের পর এক ছবিতে, আইটেম গানে নিজেকে হাজির করেছেন পর্দায়। এক পর্যায়ে দর্শকও সানিকে আপন করে নেয়। যদিও বলিউডে এসে শুরু থেকে বিভিন্ন সেক্স কমেডি, সেক্সুয়াল হরর সিনেমা ও খোলামেলা আইটেম গানেই জায়গা হয়েছে সানির, তবে ভাল ছবিতে অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষ্যার কথা সর্বদাই জানিয়েছেন সাবেক এ পর্ণ তারকা।
তিন বছরে পাঁচটা ছবি করেছেন সানি লিওন। কারও কাছে গিয়ে কাজ চাইতে হয়নি। তিনি নাকি একেবারেই জনসংযোগে দক্ষ নন। সানির কথায়, ”আমার ছবি ভাল চলছে শুনলে অবশ্যই ভাল লাগে। প্রযোজকদের টাকা তুলে ফেরত্ দেওয়া আমার প্রথম দায়িত্ব।” তিনি দর্শকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাকে গ্রহণ করার জন্য।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৬:০০ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ