শিয়া মুসলমানদের তাজিয়া মিছিলের মূল অনুষঙ্গ মাতম। আর মাতম মানেই বিয়োগান্ত সুরে ছুরি, চাকু দিয়ে নিজেদের আঘাত করে রক্তাক্ত হয়ে তরুণদের কারবালার শোককে স্মরণ করা। কিন্তু এবার ঘটেছে তার ব্যতিক্রম।
গত বছরের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিতে বোমা হামলার ঘটনার পর এবারের আশুরায় ছিল আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়াকড়ি। ধর্মীয় নানা আচার বাদ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ছিল চাকু, ছুরি ব্যবহার না করার শর্ত।
নিরাপত্তার স্বার্থে সেসব শর্ত মেনেই বুধবার সকালে হোসেনী দালান থেকে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল বেরিয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেলা দেড়টায় ধানমন্ডি লেকের প্রতীকি কারবালায় মিছিল শেষ হয়েছে।
মিছিলে নিয়ম ভঙ্গ করে কয়েকটি লম্বা নিশান থাকলেও অন্যান্য শর্ত মানা হয়েছে। ছিল না কালাপাহাড়, ঢোলা। তবে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে চাকু, ছুরির অনুপস্থিতি।
লালবাগের তরুণ গোলাম রসুল বলেন, ‘প্রতিবারই চাকু, ছুরি দিয়ে মাতম করি দলবেঁধে। এটাই আমাদের ধর্মীয় আচার। কিন্তু এবার খালি হাতেই বুক চাঁপড়িয়েছি।’
আজিমপুর থেকে মিছিলে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জীবনে প্রথম খালি হাতে মাতম করেছি। সবসময়ই কিছু না কিছু থাকে। ঘাম ঝরে, রক্ত বেরোয়, অন্যরকম আবেগ থাকে। কিন্তু এবার কিছুই হয়নি।’
তাজিয়া মিছিল শেষেও ধানমন্ডি লেকের পাশে একদল তরুণ সুরের তালে বুক চাপড়িয়ে মাতম করছিলেন। মাতম শেষে কামাল হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ‘কালো পোশাক, পাগড়ি, বেল্ট, মালা সবকিছুই আছে। কিন্তু চাকু, ছুরি ব্যবহার করতে পারিনি। কিন্তু এটি আমরা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছি। গতবারের মতো যেন কোনো অঘটন না ঘটে, তাই নিরাপত্তার স্বার্থেই বিষয়টি খারাপ লাগেনি।’
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur