করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে চলমান লকডাউনের কারণে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সমস্যায় রয়েছে। হতদরিদ্রসহ নিন্মমধ্যবিত্তরা আজ খাদ্য সংখটে ভুগছে। তাই সরকার ইতিমধ্যেই খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলছে। ফরিদগঞ্জ পৌরসভাতেও তা চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা সরকার থেকে ২৭টন চাল পেয়েছি।
এছাড়া সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে ১ টন ও আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে আমি ৩ টন চাল ক্রয় করে মানুষের দ্বারে দ্বারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিপূর্ণ ভাবে দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি সরকারের বরাদ্দ দ্রুত পাবো। তাহলে পৌরবাসীর প্রতিটি ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী দিতে পারবো।
এ সময় মেয়র মাহফুল হক বলেন, পৌরসভার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি নিজের শপথের কথা ভুলে গিয়ে শুধু আমি মেয়রের
গিবত নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু মানুষ যে দূর্ভোগে রয়েছে তা বুঝছে না। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া।
২২ এপ্রিল বুধবার দুপুরে পৌরসচিব এ কে এম খোরশেদ আলমের পরিচালনায় করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান প্রেক্ষাপটে পৌরসভার ত্রাণ বিষয়ক জরুরী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
সভায় জানানো হয়,আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পৌরসভার ১২শত লোকের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আদলে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে।
এছাড়া নিম্নমধ্যবিত্তদের তালিকা দ্রুত সম্পন্ন করা জমা দিলে সেখান থেকেও একটি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। একই সাথে ব্যবসায়ীদের তালিকাও করা হচ্ছে, যাতে সরকার যদি মাঠ পর্যায়ে প্রনোদনা প্রদান করে তবে পৌবসভার ভিতরে থাকা ব্যবসায়ীরা সেই প্রনোদনার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
সভায় কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আ: মান্নান পরান, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন, খোতেজা বেগম, কাউন্সিলর কুসুম বেগম, মহসীন তালুকদার , পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিবেদক;শিমুল হাছান,২৩ এপ্রিল ২০২০