বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান গেস্নাবোক্যানের এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা.মফিজুর রহমান জানিয়েছেন,প্রতি বছর বাংলাদেশে আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন,পরিসংখ্যান মতে বর্তমানে দেশে ১৫ লাখ রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত । যার মধ্যে অধিকাংশই পুরম্নষ। পুরুষ রোগীদের মধ্যে ফুসফুস ,নারীদের মধ্যে স্তন ও জরায়ু আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি।
শুক্রবার (১০ নভেম্সবর )সকালে রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে দু’দিনব্যাপি অনকোলজি ক্লাব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক্যান্সার কংগ্রেসে’ ডা. মফিজুর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনকোলজি ক্লাব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ক্যান্সার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা.এম এ হাই বলেন ,বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে ক্যান্সার রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা আশঙ্কাজনক। দেশে বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী এ রোগে আক্রান্ত যার অধিকাংশই চিকিৎসার আওতার বাইরে।
দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিকায়নে মানসম্পন্ন ও দক্ষ জনবল তৈরি করাই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য জানিয়ে ডা.হাই বলেন,’ক্যান্সার জয় করতে এবং দেশের ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার রোগী ও তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আর্ন্তজাতিকএ কনফারেন্সে মেডান্টা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট (ভারত),ইউনিভার্সিটি অব বলগনা (ইতালি),টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার (ভারত),ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-সিঙ্গাপুর, এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) ট্রাস্ট-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যান্সার হাসপাতালের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ,বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা অংশ নেবেন।
সম্মেলনে থাকছে প্রায় ৯০টি গবেষণাপত্র। যার মধ্যে ১৩টিই আন্ত্মর্জাতিক গবেষণাপত্রের মর্যাদা লাভকারী। এর আগে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবার রাজধানীর উত্তরার আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা জানিয়েছিলেন, নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি- এমনকি মৃতু্যর হারও। দেশে প্রতি ১০ মিনিটে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
ওই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা কত সেই তথ্য সঠিক ভাবে কেউ দিতে পারবে না। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিশেষভাবে মফস্বলের চিকিৎসকরা জানেনও না যে কোথায় ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।
এএমসিজিএইচ-এর মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কামরম্নজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সালে দেশের জনসংখ্যার ১ লাখ ৪০ হাজার নতুন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:১০ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার
এজি