প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পর মতলব ডিগ্রি কলেজ সরকারি করণ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সর্বমহলে আনন্দ- উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে কলেজটি সরকারিকরণের নির্দেশ জারি হলে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে এ উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরন বিধিমালা- ২০১৮ এর আলোকে দেশের ২৭১টি কলেজের মধ্যে চাঁদপুর জেলার ৭টি কলেজ সরকারি করণ করা হয় মর্মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব নাছিমা খানমের স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপনটি জারি হয়।
১৯৬৪ সালের ১ আগষ্ট মতলব ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ৫৪ বছর পর কলেজটি সরকারি করণ করা হয়। এটি মতলবের একমাত্র সরকারি কলেজ। মতলব ডিগ্রি কলেজের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, কলেজটি সরকারি হওয়ার সংবাদটি আসার পর কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীও সর্বমহলে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
অপরদিকে মতলব ডিগ্রি কলেজ সরকারি হওয়ার খবরটি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে পোষ্ট করা হলে কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাসে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। তন্মধ্যে প্রাক্তন ছাত্র সফিকুল ইসলাম সাগর বলেন, এ কলেজ সরকারিকরণ খবরে আনন্দিত। আমার গর্ব ও অহংকার আমি মতলব ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। কলেজের ঐতিহ্য রক্ষার্থে দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহব্বান জানাই।
প্রাক্তন ছাত্র মো. মাকছুদ উল্লাহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ প্রতিষ্ঠান যেন মানুষ গড়ার কাজে লাগে। কলেজ সরকারি হওয়ায় প্রাক্তন ছাত্র ফেরদৌস আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে অভিনন্দন জানান।
ওসমান মুন্সি বলেন, সত্যি অনেক গর্ববোধ করি। আমিও এ কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র, ৯৪ ব্যাচের ফারুক পাটোয়ারী অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে এরকম উন্নয়ন সম্ভব।
মামুন মিজি বলেন, এ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করছি। জাতীয়করনের ফলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে এবং এটা আমাদের মতলববাসীর জন্য অত্যান্ত আনন্দের।
সেবকের চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ বাবুল বলেন, আমি আনন্দিত। আমি আশা করি মতলব ডিগ্রি কলেজ হবে সন্ত্রাসমুক্ত।
এছাড়া অভিনন্দন জানিয়েছেন এমএ সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, জামান মনির, বিশ্বজিৎ নাথ বিশু, মো. কামরুজ্জামান রিপন, মো. ফয়সাল খন্দকার, কবির সরকার, মো. সোলাইমান, জামাল হোসেন, সাইফুর রহমান শাহিন।
এ বিষয়ে মতলব ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, এটি মতলববাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কলেজটি সরকারি হওয়ায় পড়ালেখা মান বৃদ্ধি পাবে এবং স্বল্প খরচে ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারবে।
কলেজটি সরকারিকরনের জন্য স্থানীয় এমপি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক