বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এর সংক্ষেপে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিএনপি হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডান থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। তৎকালীন জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি চালু করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলে, তাঁর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল জাগদল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দলের সমন্বয়ক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এ দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এ দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। এ দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়- তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দু’ ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এখানে উল্লেখ্য- বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল জাগদল নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৭ বছরের পথচলা আদর্শ, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের অঙ্গীকারে গড়া এক ইতিহাস। এ বিশেষ উপলক্ষে বিএনপি ঘোষণা করেছে এক বর্ণাঢ্য সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচি, যা দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে হয়ে উঠবে এক প্রাণবন্ত উৎসব। তথ্য সূত্র : ওয়েবসাইড থেকে সংগৃহীত ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপি কর্মসূচি

৩১ আগষ্ট ২০২৫, রবিবার বেলা ২ টায় রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দসহ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিএনপি’র নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১১ টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ঐদিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হবে।

২ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী।

৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও পৌরসভায় আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ করা হবে। সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিএনপি’র উদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠক। এ উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী (ক) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (খ) বৃক্ষ রোপণ অভিযান (গ) মৎস্য অবমুক্তকরণ (ঘ) ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ঙ) ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পাদনা-আবদুল গনি
২৭ আগস্ট ২০২৫
এজি