পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. শামসুল আলম বলেন, আমি আমার কর্মজীবনে স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে পেরেছি। কোনো অবৈধ সুবিধা নিইনি। দেশটাই আমরা কাছে বড়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ছিল বলেই আজ আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। পরিকল্পনা কমিশনে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। এটি অপূর্ব পাওনা।
সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
ড. শামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর এই চত্বরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আজ থেকে নতুন দায়িত্ব পালন শুরু করলাম। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তা যেন রক্ষা করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চাই।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে এসময় বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশিদ, নাসিমা বেগমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. শামসুল আলম আরও বলেন, ২০০৯ সালে থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের ১১৪টি প্রকাশনা হয়েছে। অথচ ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রকাশনা হয়েছে মাত্র ১৪টি। আমার হাতে যতগুলো পরিকল্পনা হয়েছে সবগুলোই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সবার প্রশংসাই পেয়েছি। বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করার পর আমাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি। কারণ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই দেড় বছর দেরি হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম।তাই সেখান থেকে আর বের হতে পারিনি। জিইডিতে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কোনো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ছিল না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর পরামর্শে সে সময় পিআরএসপি ছিল। হঠাৎ করে পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসাটা তখন ছিল সংবিধানের লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ফিরে আসা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সঙ্গে আধুনিক ও নতুন ইঞ্জিন যোগ হয়েছে। সুতরাং কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। কাজের গভীরতা ও ব্যাপ্তি অনেক বাড়বে বলেই আশা করি। শেখ হাসিনার সরকার জীবন্ত সরকার। ড. শামসুল আলম আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আবারও নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ায় আমরা অনেক বেশি খুশি হয়েছি।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১৮ জুলাই ২০২১