চাঁদপুর

প্রতিবন্ধী হকারের ভাগ্যে সরকারের খাদ্য সহায়তা জুটবে কি?

করোনা ভাইরাস মহামারীতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও খেটে খাওয়া মানুষের কাজ কর্ম। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতায় রক্ষায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। যদিও সরকার এসব খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলেছেন। কিন্তু ভাগ্যের দরজায় সুখবার্তা টোকা না দেয়ায় অনেক প্রকৃত অসহায়রা বাদ পড়ছেন সরকারের এসব খাদ্য সহায়তা থেকে।

তেমনি একজন হতভাগা প্রতিবন্ধী হকার কবির খান। প্রতিবন্ধী হয়েও যিনি ভিক্ষাবৃত্তি না করে বাদাম বিক্রি করে কোন রকম সংসারের হাল টানছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সারা বাংলাদেশের সাথে চাঁদপুর জেলাতেও চলছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকঢাউন। এই পরিস্থিতিতে কবির খানের মতো বহু খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষরা বড় অসহায় পড়েছে। রাস্তা ঘাটে মানুষজন না থাকায় তার বাদাম বিক্রিও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পেটের ক্ষুধা কি আর বুঝে করোনায় অকাল মৃত্যুর ভয়?

তাই জীবন জীবিকার টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মাঝ মধ্যে নিজ কর্মে বেরিয়ে পড়ছেন এমন অসহায় বহু হকাররা। অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী কবির খানের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা।

এমন কি কোন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকেও কোন সহযোগিতা পাননি এই হতভাগা হকার। ঘরে দু,মুঠো চাল থাকলেও তরকারি কেনার প্রয়োজন পড়লে বাদাম ভর্তি ছোট্ট বলটি গলায় ঝুলিয়ে জীবনের মায়া না করে পরিবারের জন্য বেরিয়ে পড়েন ঘরের বাহিরে। দেশের সংকটময় মুর্হুতে অসহায় প্রতিবন্ধী কবির খানের ভাগ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারের খাদ্য সহায়তা জুটবে কি?

রোববার দুপুরে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে এভাবেই গলায় বাদাম ভর্তি বল ঝুলিয়ে হকারি করতে দেখা যায়।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,২০ এপ্রিল ২০২০

Share