প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পঁচাত্তরে পরিবারের সবাইকে ও সবকিছু হারানোর পরও দেশে ফিরে নিজেদের সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করেছি। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের কথা সংবিধানেই রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে জাতির জনক শুধু সংবিধানেই এর সংযোজন ঘটাননি, প্রতিবন্ধীদের ভাগ্যের উন্নয়নেও সকল পদক্ষেপ নেন।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৫তম আন্তর্জাতিক ও ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জনগণের সেবা করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, অটিস্টিকসহ পিছিয়ে থাকা মানুষের সেবা করা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পরে সাত বছর সেই ধারা ব্যাহত হয়। তবে আওয়ামী লীগের কাজের ফলশ্রুতিতেই জনগণ বুঝতে পেরেছিল সরকারের কাজই তাদের সেবা করা।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আইন ও বিধিমালা প্রণয়নসহ তাদের অধিকার আদায়ে সহায়তা করছে সরকার। এমনকি শিক্ষানীতিমালাতেও প্রতিবন্ধীদের অধিকারের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধীদের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যও আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:০০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ