সারাদেশ

প্রতিনিয়ত কঙ্কাল চুরি আতংকে হরিণাকুণ্ডের মানুষ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশের কঙ্কাল ও হাড়গোড় চুরি হওয়ায় গ্রামে গ্রামে আতংক বিরাজ করছে। অনেক গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে কবর।

জুলাই মাসে ৬ জনের কবর থেকে কঙ্গকাল চুরি হলেও পুলিশ এখনো এই চক্রকে ধরতে পারেনি। দুর্বৃত্তদের উদ্দেশ্য নিয়েও জনমনে নানা শংকা দেখা দিয়েছে।

হরিণাকুন্ডুর তাহেরহুদা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের কবরস্থান কয়েক দিনের ব্যবধানে ৬ ব্যক্তির কঙ্কাল ও হারগোড় চুরি হয়েছে। গ্রামবাসি জানান, ১৩ জুলাই গাজীপুর গ্রামের রমজান আলী ব্যাপারীর কবর খুঁড়ে প্রথম কঙ্কাল চুরি করে দুর্বৃত্তরা।
এরপর পর্যায়ক্রমে একই গ্রামের নবীন মিয়া, ফজলুর রহমান, ইদ্রিস আলী, বুদো ও নিহাল মন্ডলের স্ত্র্রী রহিমা খাতুনের কবর থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। মরা কঙ্কাল চুরি হওয়া রমজান আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম হামিদ জানান, তার বাবার কবর থেকে কে বা করা কংকাল চুরি করে নিয়ে যায়।

এরপর গত ২৬ ও ২৭ জুলাই পর্যায়ক্রমে একই গ্রামের আরো ৫ দিনের কবর খুড়ে হাড়গোড় তুলে নিয়ে যায়। নবীন মিয়ার মেয়ে শিলা খাতুন সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিক কে জানান, তার বাবাকে ৬ বছর আগে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে সন্ত্রাসীরা। এক মাস পর পুলিশ গলিত লাশ উদ্ধার করে। বাবার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করি।

তিনি আরো জানান, মাঝে মধ্যে বাবার কবর জিয়ারত করতে সেখানে যেতাম। কঙ্কাল চুরি হওয়ার পর আমরা চরম ভাবে ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত। একের পর এক কবর থেকে লাশ চুরি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।

তাহেরহুদা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘বিষয়টি আমরা পুলিশকে। আমি নিজেও গাজীপুরের কবরাস্থানে গিয়ে ঘটনাটি দেখে এসেছি। এ নিয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।’

হরিণাকুণ্ড থানার এসআই নিপ্পন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কবরাস্থনগুলো গর্ত করা দেখা গেছে। কি উদ্দেশ্যে করা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত তা আমরা খুজে বের করার চেষ্টা করছি।

About The Author

প্রতিবেদক- জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট
Share