আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় ৫ বছর পর পর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও কর্মদক্ষতার অভাবে টানা ক্ষমতা থাকতে দেখা যায়নি অনেক ইউপি চেয়ারম্যানকে। তেমনি বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায় হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে।
সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাব করে চেয়ারে বসেছেন হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার। ভবিষ্যৎ লক্ষমাত্রা ধরে রাখতে তিনি তার ইউনিয়নের মানুষের যে কোন আপদ বিপদে বাড়ি-বাড়ি, থানা ও উপজেলা পরিষদে ছুটে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদটি হাড়িয়াইন আড়ং বাজারে অস্থায়ী ভাবে অবস্থিত। সেখানে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গিয়ে দেখা যায় পরিষদের নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল পরিষদে বসে আছেন। দিন বাড়ার সাথে সাথে পরিষদে আগত মানুষের জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ভাতা বইয়ে স্বাক্ষরের কাজে ব্যস্তোসময় পার করছেন।
পাশাপাশি পরিষদের সচিব ও ইউডিসি উদ্যোক্তাদের কাজেও তদারকি করছেন। সেই সাথে বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা গ্রামের সাধারন মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ অনুযোগ নিজ মুখে শুনে উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধানের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এর মাঝে অনেক গরীব অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতার প্রাধান্য সমান তালে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সকাল থেকে অনেক সময় রাত ০৮/০৯ টা পর্যন্ত পরিষদের সকল কাজ সমাধানের চেষ্টা করে বাড়ীতে রওনা দেন চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল মজুমদার।
পরিষদে আসা সেবা গৃহীতা মনির, নাজির হোসেন, গোলাম হোসেন ও মর্জিনা বেগম বলেন, ‘অতীতে আমরা এমন চেয়ারম্যান আর দেখিনি। বর্তমান চেয়ারম্যান সারাদিন পরিষদে বসে থাকেন এবং যে কোন কাজে আসলে অতি সহজে আমরা কাজের সমাধান পাই।’
পরিষদের সচিব আবুল বাশার বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসাবে তার কাছ থেকে আমরা সঠিক সমাধান পাচ্ছি। কোন কাজে তার কোন অবহেলা চোখ পড়েনি।’
পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সোহেল বলেন, ‘আমরা যে কোন প্রয়োজনে দিন রাতে চেয়ারম্যানের সই স্বাক্ষর থেকে শুরু করে সকল সেবায় কাছে পেয়েছি, এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, ‘আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত প্রায় ১৩ বছরে অনেক কাজ করেছে কিন্তু সেই ভাবে প্রচার প্রচারণা হয়নি। আমাদের হাজীগঞ্জ – শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর কাছ থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো।
তিনি আরো বলেন, আগামি দিনে আমার ইউনিয়ন পরিষদে যে বরাদ্দ আসবে তা সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়াই আমার মূল উদ্দেশ্য। তার পাশাপাশি আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বিনামূল্যে মানুষের সেবা করা। মানুষের মাঝে কাজের মূল্যায়ন নিয়ে বেচেঁ থাকতে চাই।’
পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের বিষয়ে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ইতিপূর্বে হাড়িয়াইনে খারিজ খতিয়ান সম্পন্ন করা আমাদের পারিবারিক ২৫ শতাংশ ভূমি পরিষদের জন্য স্থায়ী ভাবে দান করে দিয়েছি। তাই ঐ স্থানে নতুন ভবনের জন্য এলাকাবাসীর সাথে আমিও দাবি জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,২২ মে ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur