শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন আধুনিক মাস্টারপ্ল্যান। একজন নাগরিককে সবদিক দিয়ে স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষার।
আর স্মার্ট শিক্ষার ফলেই দেশ হয়ে উঠবে উন্নত। আর স্মার্ট শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি বন্ধ করতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করেছি। শুধু গুচ্ছ পদ্ধতি নয় শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখন ইংলিশ মিডিয়ামে শুধু উচ্চবিত্তরা না নিম্নবিত্তরাও পড়াশোনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণার জায়গা। ফলে গবেষণা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয় মেধাবী। তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে তারা আরও গুনগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্তা করতে হবে। আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের শিক্ষক এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২ সালে করোনার প্রভাব শেষ হয়নি, কাগজের সংকট, বিদ্যুৎ সংকটসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করে নতুন বছরে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে পেরেছি। বই ছাপানো নিয়ে অনেকেই কটু কথা বলছেন। আমরা ইসলামসহ পর্দা প্রথাকে হেয় করছি। বৌদ্ধ, খৃষ্টান, হিন্দুত্ববাধ, সমকামীতা, পৌত্তলিকতাসহ বিভিন্ন মন্দির,গীর্জা বইয়ে স্থান পেয়েছে। তবে এগুলো একটাও সত্য না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. এ এম হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জনাব মো. মুরশেদুল কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকগণ।
বার্তা কক্ষ, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩