শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত, এনএসআই এর উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কিন্তু উৎসব সবার। সরকারের যেসব নির্দেশনা রয়েছে প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি লাগানো তার ব্যবহার করতে হবে। যে কোন গুজবের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যেন কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়। অনেক দুষ্কৃতকারী রয়েছে, তারা গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্বেচ্ছাসেবক প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষণিক রাখতে হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে কয়েকটি গ্রুপ করে শিফট করে ভাগ করে দিতে হবে। এছাড়াও নির্বিঘ্নে যেন যান ও মানুষ চলাচল করতে পারে তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচিতি নিশ্চিত করতে হবে।যেহেতু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে সরকার থেকে নির্দেশনা রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ এর ঘাটতি এড়াতে জেনারেটর বা অন্যকোন উপায় ঠিক রাখতে হবে। পূজার আয়োজন ২-৪ দিন হয় অতএব বিদ্যুৎ খুব বেশি একটা খরচ হয় না তাই অবৈধ সংযোগ না করিেল ভালো হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোস্ট গার্ডের টিম সদা তৎপর থাকতে হবে। বিসর্জনের যে নির্ধারিত সময় দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে। আজকে আমরা প্রায় সবাইকে নিয়ে সবধরণের আলোচনা হয়েছে। সবাই মিলে সার্বজনীন এ উৎসব সুষ্ঠ, সুন্দর ভাবে পালন করতে পারি।
পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বলেন, সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চললেই পূজা নির্বিঘ্নে পালিত হবে। ২৪ঘন্টা ডিউটি করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় তাই মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন সিসি টিভি লাগানোর কথা বলেছেন। বিদ্যুৎ সমস্যাটা বৈশ্বিক সমস্যা, তাই বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তবে অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা যেমন জেনারেটর মত ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় পত্র বা আলাদা কোন পোশাকের ব্যবস্থা করে দিবেন। গতবারের মত ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্যে সবাই সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, জেলা পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর এর প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক মো. সাহিদুল, ইসলাসিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম মিঠুন, চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, হাইমচর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় মজুমদার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হিতেশ চন্দ্র সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর কুমার ঘোষ, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র কর্মকার, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফনি ভূষন মজুমদার প্রমূখ।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২