Home / চাঁদপুর / প্রজনন মৌসুমে ৫২ শতাংশ মা ইলিশ শতভাগ ডিম ছেড়েছে
প্রজনন

প্রজনন মৌসুমে ৫২ শতাংশ মা ইলিশ শতভাগ ডিম ছেড়েছে

প্রজনন মৌসুমে ৫২ শতাংশ মা ইলিশ শতভাগ ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক দল
গবেষক। ৩২ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়ারত অবস্থায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ডিম ছাড়ার সুযোগ পাবে ৮৪ শতাংশ মা ইলিশ। মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরতে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনের আগে এবং পরের ৭ দিন করে মোট ১৪ দিন এই গবেষণা করেন ইলিশ গবেষকেরা। তবে এখনো গবেষণার তথ্য সংগ্রহ চলছে।

১ নভেম্বর মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাঁদপুরের নদী কেন্দ্রিক ইলিশের গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।

মৎস্য গবেষকদের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাগর উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের কিছু অংশসহ ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার ওপর গবেষণা হয়। গবেষণার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মা ইলিশ এই পর্যন্ত ডিম ছেড়েছে ৮ লাখ ৫১৫ কেজি। এতে করে এ বছর ৪০ হাজার ২৭৬ কোটি জাটকা ইলিশ। যা গত বছরের তুলনায় ২.৪% বেশি।

ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, টাস্কফোর্সের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মা ইলিশের প্রজনন রক্ষা সফল হয়েছে। আমাদের এখন কাজ হচ্ছে জাটকাকে লালন পালন করে বড় হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। জাটকা সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। এ বছর দেশে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ছিল সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিবছরই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আশরাফুল আলম আরও জানান, এই বছর আমরা ভোলা ও সন্দীপ বিভিন্ন এলাকায় চ্যানেলগুলোতে গবেষণার কাজ বেশি করেছি। মূলত আমরা গবেষণার কাজে বর্গমাইল নির্ধারণ করি। এরপর এক কিলোমিটারে কতটি নৌকা মাছ ধরে তার পরিসংখ্যান নেই। প্রতি জেলে নৌকা কি পরিমাণ মাছ আহরণ করে এবং তাদের জালের পরিমাণ কত ইত্যাদি পরিসংখ্যান থেকে ইলিশের ডিম ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। অর্থাৎ একটি ইলিশের সাইজের ওপর নির্ভর করে কতটুকু ডিম ছাড়বে।

এদিকে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশনের মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আমদানি করা অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম। এক কেজি এবং এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশের সংখ্যাই বেশি। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সাগর উপকূলীয় এলাকার জেলেরা এসব ইলিশ মজুত রেখে এখন চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসছে। আর এসব ইলিশের মধ্যে কিছু ইলিশ আছে পচা। সেগুলোর পেট থেকে ডিম বের করা হচ্ছে এবং আলাদা করে এসব ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিকেজি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা।

স্টাফ করেসপন্ডেট,১ নভেম্বর ২০২২