মতলবে প্রচণ্ড শীতে স্থবির জনজীবন, বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে অসহায়রা

গত তিন-চারদিন ধরে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে মতলব উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তুষারাচ্ছন্ন বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এ উপজেলার সাধারণ মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মজুর পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাশে কষ্টের সীমা নেই খেটে খাওয়া শ্রমজীবি,দুস্থ ও রঅসহায়দের।
গরম কাপড় কেনার সামর্থ না থাকায় আগুনের উম নিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে অনেকে। কুয়াসাশায় ঢাকা উপজেলার সর্বত্র। তীব্র শীতের উপস্থিতি টের পাচ্ছেন মতলব উত্তর উপজেলার মানুষ। ঠান্ডা হাওয়া আর তীব্র শীতে সবচেয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

একে ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীবে শীতের প্রকোপে কর্মশূন্য দিন। তার উপর শীতের দাপটে ত্রাহী অবস্থা। গরম কাপড় কিনে শীত নিবারণ যাদের কাছে দুসাধ্য, ঝুঁকিপূর্ন আগুনের পরশই তাদের পরম পাওয়া। আজ শনিবার সকাল থেকে সারা দিন প্রায় সূর্য্যরে দেখা মেলেনি। মাঝে-মধ্যে দূর আকাশে সূর্য্যমিামা উঁকি দিলেও ছিলনা কোন প্রভাব। পুরোদিন ছিল রীতিমতো মেঘাচ্ছন্ন। বিকেলের পর থেকে হিম শীতল হয়ে যায় বাতাস। শীতল বাতাসে বাড়তে থাকে শীতের মাত্রা। এক পর্যায়ে অসহনীয় হয়ে যায়। প্রচন্ড শীতে হাট-বাজারে আসা মানুষজন রীতিমতো জবুথবু হয়ে পড়েন।

কিন্তু জীবন তো আর থেমে নেই। এই কন কনে শীত আর ঘন কুয়াশাকে দূরে ঠেলে দিয়ে এগিয়ে জীবিকার সন্ধানে। এমনি কয়েকজনের সাথে কথা হয় তারা চাঁদপুর টিভিকে জানান, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বালুচর গ্রামের শেকান্দর আলী শেকা ও কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের মোঃ মিরাজ বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ ।

প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এখ নপর্যন্ত আমরা সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে বা বিত্তবানদের কাছ থেকে কম্বল বা শীতের কাপড়র পাইনি। হাড় কাঁপানো শীতের কাছে হেরে যাওয়া নিতান্তই দুস্থ্য মানুষেরা এখন সমাজের বিত্তবানদের অপেক্ষায়। হয়তো মনের চাওয়া কেউ আশুক না একটা কম্বল কিংবা শীতের গরম কাপড় নিয়ে।

ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালানো মোঃ আলমাস চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রচন্ড শীতে আমরা কোনো খেব পাইতেছিনা। এমন পরিমান শীত লোকজন বাজারে কিংবা বাহিরে আসছেনা। বর্তমানে এই শীতে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন সময় দপুর ১২টা এখ নপর্যন্ত ১টাকাও রোজগার হয়নি। এই গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা চলবো কিভাবে। আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাই। যেখানে দৈনিক ৮০০,৯০০,১০০০,১২০০ টাকা রোজগার করতাম সেখানে আজ দুপুপর পর্যন্ত এক টাকাওনা। কিভাবে যে সংসার চালাবো জানি না। আমরা সরকারি সাহয্য চাই।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ৭ জানুয়ারি ২০২৩

Share