প্রক্রিয়াজাত করা মাংস যেমন, সসেজ, হ্যাম, সালামী বা হট ডগ জাতীয় খাবারকে ‘কার্সিনোজেনিক’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়। আর এই শ্রেণীর খাবার সাধারণত মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাংস কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
‘রেড মিট’ বা গবাদিপশুর মাংসে হৃদরোগের ঝুঁকি আছে এমন খবরের পরে ভয়ে অনেকেই মাংস খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন, আবার অনেকে পুরোপুরি বাদই দিয়েছেন। তবে বেশির ভাগ ভোজনরসিকই ওই খবর আমলে নেননি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি লাল মাংসের ব্যাপারে নতুন এক সংবাদ হাজির করেছে।
সংস্থাটি ক্যান্সার গবেষণা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক একটি এজেন্সির এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলছে, গরু, ছাগল, ভেড়া বা শূকরের মাংস খাওয়া বা প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম করে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলেও অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়।
আর গবাদিপশুর মাংস অর্থাৎ ‘রেড মিট’ বা লাল মাংস খেলে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমনটাই বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
তবে প্রতিবেদনে প্রক্রিয়াজাত নয় এমন লাল মাংসের ক্ষেত্রে পরিষ্কার কোনো ধারনা দেওয়া হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, গরু, ভেড়া বা শূকরের মাংস খেলে ক্যান্সার হতে পারে এমন ‘সীমিত’ প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবে এর অন্য ব্যাখ্যাও করা সম্ভব।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত করা মাংস যেমন, সসেজ, হ্যাম, সালামী বা হট ডগ জাতীয় খাবারকে ‘কার্সিনোজেনিক’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়। আর এই শ্রেণীর খাবার সাধারণত মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম।
তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাংস কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০১:১৯ পিএম,২৮ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর