হাজীগঞ্জ

প্রকাশ্যে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি : হাজীগঞ্জে জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় প্রতিপক্ষকে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ১২ টার দিকে উপজেলার বেলচোঁ এলাকায় এ মানবন্ধন হয়।

ঘটনার বিরনে জানা যায়, বেলচোঁ বাজারে ফল দোকানের সামনে মোটর সাইকেল রাখে জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই ফারুক হোসেন। দোকানদার ডাক দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ফারুক ও তার সাথের বন্ধু কাউসার।

এক পর্যায় বেলচোঁ বাজারের বরফ ব্যবসায়ী হাসান প্রতিবাদ করলে মারামারি চরম আকার ধারণ করে। এ সময় পাশের চা দোকান থেকে নুরজাহান বেগম মুক্তার সমর্থক দুলাল হোসেনও ফারুক হোসেনকে মারধর শুরু করে। পরে ছোট ভাইয়ের বিষয়ে খবর পেয়ে জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল বের করে উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও দুলাল হোসেনকে হুমকি দেয়।

এ সময় নূরজাহান বেগম মুক্তার লোক দাবি করে গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মোটর যোগে যাওয়ার পথে জেলা পরিষদের সদস্য জসিম ও তার লোকজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ী মারধর করে। পরে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ আহত অবস্থায় শাহাদাত হোসেনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে ১০নং গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল ও স্বপনের কাছে চোখের চিকিৎসার জন্য শাহদাতকে জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুল ইসলামকে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেঁকিয়ে হত্যার হুমকি ও বেলচোঁ বাজারের প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন এবং হাছান খাঁর উপর জসিম উদ্দিন বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এই মানববন্ধন করা হয়।

এ বিষয়ে আহত শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি একটি শালিসি বৈঠকের উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল যোগে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের যাওয়া জন্য রওনা দেই। পথিমধ্যে বেলচোঁ বাজারে লোকজনের ভিড় দেখলে আমি মোটর সাইকেল বন্ধ করে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করি। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মফিজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য জসিম আমাকে পিস্তল ঠেঁকিয়ে হত্যার হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানববন্ধন এলাকাবাসি করেছে, আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন বলেন,আমি মেজর রফিকের বিরুদ্ধে কোন কথা শুনতে চাইনা। রাজনৈতিক বিষয়ে নয় ছোট ভাইকে মারধর কারা করেছে তা জানতে গিয়েছি মাত্র, এর বেশি কিছুই হয়নি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ জাবেদুল ইসলাম বলেন, ঘ‘টনাস্থল থেকে আহত শাহদাত হোসেন নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৪০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Share