চাঁদপুর সদর

প্যারোল নিয়ে কথা বলিনি : ফখরুল, ফোন রেকর্ড আছে : ওবায়দুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এমন তথ্য এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুল কি কথা বলেছেন এটি প্রকাশ না করলেও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল যে আবেদন করেছেন তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

যদিও দুই নেতার ফোনালাপের পর এ ইস্যুতে এ পর্যন্ত কোন অগ্রগতির ইঙ্গিত মিলছে না। ওবায়দুল কাদেরকে ফোনের বিষয়টি অবশ্য বিএনপির তরফে প্রকাশ করা হয়নি। দলটির তরফে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়া উচিত। তবে গত কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া ইস্যুতে অনেকটা রাজনৈতিক বাহাস চলছে।

পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন দুই দলের নেতারাই। মির্জা ফখরুলের ফোনালাপের বিষয়টি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ করার পর ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ বলছেন, এটি বিএনপির রাজনৈতিক দ্বিচারিতা। তারা একই দাবিতে আন্দোলন করছেন আবার সরকারের সহানুভুতিও চাইছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আইনি বিষয়ের সিদ্ধান্ত আইনিভাবেই হবে। এখানে সরকারের বিশেষ কোন করনীয় নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট করেছেন, প্যারোল চাইতে হলে খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করতে হবে। এই যখন অবস্থা তখন গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তার জামিন আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। আগে এমন আবেদনে উচ্চ আদালতের সাড়া না পেলেও এবার সুচিকিৎসার বিষয়টি সামনে এনে নতুন আবেদন করা হয়েছে। আজ আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে। অন্যদিকে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তার কথা হয়নি। প্যারোলের বিষয়টি তার পরিবার দেখবে। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল যে ফোন করেছেন এ ব্যাপারে রেকর্ড আছে।

প্যারোল নিয়ে কথা বলিনি-ফখরুল: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কোন কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, আমরা তো কোনও প্যারোল নিয়ে কথা বলিনি। আমাদের দল থেকেতো উনাকে ফোনও করিনি। আমাদের দল থেকে আজ পর্যন্ত বলেছি কি? তো এটা নিয়ে কথা বলা কতটা সঠিক হয়েছে সেটা তিনি (ওবায়দুল কাদের) বিবেচনা করবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ।

তার শরীরের যে অবস্থা, তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য আমরা বলেছি যে, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে কারাগারের মধ্যে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া উচিত। কারণ এই দেশে সত্যিকার অর্থে যদি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয় সেটা বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি গত দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে উল্লেখ্য করে মহাসচিব বলেন, জনগণের যে আকাক্ষা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া, সেই মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য হবে। খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আবেদন করা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আবেদন সম্পূর্ণ তাঁর পরিবারের ব্যাপার। এ সিদ্ধান্ত বেগম জিয়া নিজে কিংবা তার পরিবারের সদস্যরাই নেবেন।

অসত্য কথা কেন বলব-কাদের: বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে জনবিস্ফোরণের চেষ্টা করছে বিএনপি। আসলে বিএনপি সব কিছুতেই রাজনীতি করতে চায় তাই তাদের দলের নেত্রীর মুক্তি নিয়েও রাজনীতি করছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনীতিক হতে পারেন কিন্তু চিকিৎসক না। তিনি কিভাবে বলবেন, খালেদার শরীরের অবস্থা কেমন? চিকিৎসার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা বার্ধক্যের কারণে যে অবস্থানে থাকার কথা, সেই অবস্থানে রয়েছে।

কিন্তু ফখরুল সাহেব একবার বলেন তার অবস্থা খারাপ, আবার বলেন মানবিক কারণে মুক্তি দেয়ার কথা। খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি সরকারের হাতে নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। সরকার কিভাবে মুক্তি দেবে? যদি, রাজনৈতিক মামলা হতো তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তির প্রশ্ন ছিল? খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ফোনে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন যেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলি। ব্যাপারটি এখন মির্জা ফখরুল অস্বীকার করলে তা প্রমাণ করারও সুযোগ রয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, সেটার রেকর্ড আছে। ওবাযদুল কাদের বলেন, অসত্য কথা কেন বলবো। তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি কি প্রমাণ করতে চান যে তিনি অনুরোধ করেননি। তাহলে কিন্তু প্রমাণ দিয়ে দেব। কারণ, টেলিফোনে যে সংলাপ, এটা তো আর গোপন থাকবে না। এটা বের করা যাবে। ফোনে কথা বলবে এটা কি গোপন রাখা যাবে। এটার রেকর্ড আছে। চাইলে প্রমাণ দিয়ে দেবো। তবে আমি আর নিচে যেতে চাই না। উনি নিজেকে কেন নিচে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদার জামিন আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী দেশ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ফের জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার তা কোর্টে তোলা হবে। গত ১২ই ডিসেম্বর জামিন আবেদন নাকচের পর দুই মাসের মাথায় শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরে গতকাল জামিন আবেদনটি জমা দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। জামিন আবেদনে মানবিক কারণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার। তাকে দ্রুত বিদেশে তথা ইউকের মত দেশে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।

এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, জামিন আবেদনে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরাই বলেছেন, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি পঙ্গুত্বের দিকে চলে যাচ্ছেন। পিজি হাসপাতালেতো তিনি বহু দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অথচ তার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বরং অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে। এমন কিছু ওষুধ ও ইনজেকশনের কথা বলা হচ্ছে, যেগুলো দেশে পুশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তার ইচ্ছামতো দেশি-বিদেশি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন আবেদন করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি আছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১লা এপ্রিল থেকে অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এই সাজা বাতিল চেয়ে একই বছরের ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩০শে এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন এবং বিচারিক আদালতে থাকা মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ২০শে জুন মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। ৩১শে জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে গত ১৪ই নভেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই জামিন আবেদনের শুনানিতে ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের মেডিকেল রিপোর্ট ৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। সেদিন (৫ই ডিসেম্বর) মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা না পড়ায় শুনানি পিছিয়ে ১২ই ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত। এতেই আপত্তি জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আর এ নিয়ে তৈরি হয় নজিরবিহীন হট্টগোল। আপিল বিভাগের এজলাসেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকে। চলে তুমুল হট্টগোল, বিক্ষোভসহ দীর্ঘ অবস্থান। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করেন। এমন অচলাবস্থা চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। এরপর ১২ই ডিসেম্বরের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ করে দেন।

খালেদার আইনজীবীরা জানান, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারান্তরীনের দুই বছর পার হয়েছে। কারাগারে ভালো নেই তিনি। খুবই অসুস্থ। পিঠে ঘা হয়ে গেছে। হাত-পা ও পিঠের ব্যথায় কাতর তিনি। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া বিছানা থেকে উঠে বসতেও পারেননা। কিছু খেতে পারেন না। ঠাণ্ডায় সন্ধ্যা থেকে রাতের বেশির ভাগ সময় শ্বাসকষ্টে ভোগেন। কিন্তু তার শরীরের কোনো উন্নতি হচ্ছে না বলে দাবি স্বজনদের।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা। বার বার জামিন চেয়েছেন আইনজীবীরা। কিন্তু জামিন মেলেনি তার। আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমলে ৪টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গত দশ বছরে ৩৩টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ৫টি, রাজধানীর গুলশানসহ খুলনার ফুলতলা, পঞ্চগড়, নাশকতার ১৬টি, মানহানির ৪টি, ৩টি হত্যা, সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে দেয়া মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগে ২টি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, ভুয়া জন্মদিন পালনের একটি, সাবেক নৌমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার একটি, জাতীয় পতাকার অবমাননার একটি, ড্যান্ডি ডাইংয়ের অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন একটি এবং বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের মালিকানা নিয়ে রয়েছে একটি দেওয়ানী মামলা। এর মধ্যে দুই মামলায় রায় হলেও ১৬টিতে অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এবং উচ্চ আদালতে ১১টির বিচার স্থগিত আছে। আর বাকি মামলাগুলোর কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, বা কোনোটি তদন্তের পর্যায়ে আছে। রাজধানী ঢাকাসহ কুমিল্লা ও কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। (Mzamin)

বার্তা কক্ষ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Share