রোগ নির্নয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার আশায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন হাজির হয় অসহায় রোগীরা। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘমাস ধরে প্যাকেট বন্ধী হয়ে পড়ে আছে নতুন এক্সরে মেশিন। ফলে রোগীদের কাংক্ষিত চিকিৎসা পেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এ ছাড়াও এ্যানালাইজার মেশিনটি থাকলেও তা অকেজো হয়ে আছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট। এ নিয়ে উপজেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক জনসাধারন অধূষিত অসহায় রোগীরা তাদের প্রাপ্য সরকারী চিকিৎসা সেবা নিতে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভুক্তভোগীরা জানায়, প্যাথলোজি বিভাগে রোগ নির্নয়ের জন্য ২ জন মেডিক্যাল টেকনোলোজিষ্ট এর স্থলে আছে মাত্র একজন। সাবেক সাংসদ ডঃ শামছুল হক ভুঁইয়ার বদৌলতে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই সাবেক ইউএইচপিও ডাঃ জাহাংগীর আলম শিপনের প্রচেষ্টায় অত্যাধুনিক মানের একটি এক্সরে মেশিন পেলেও তা কক্ষ সংকটের কারনে চালু করা যাচ্ছে না।
এ ছাড়াও মাত্র দেড় দুই লাখ টাকার অভাবে সরকারী নতুন এ্যানালাইজার মেশিন আনতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারী ভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় এ মেশিন সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতালে আসা অসহায় শতশত নারী পুরুষ তাদের রোগ নির্নয়ের পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বাধ্য হয়ে চড়া মূল্যে অন্যত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদেরকে।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনোলোজিষ্ট গোলাম ফারুক তফাদার বলেন, প্যাথলজিতে দুইজন টেকনোলোজিষ্ট এর স্থলে আমি একজন থাকায় রোগের নির্নয়ের জন্য আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে অচল হয়ে আছে এ্যানালাইজার মেশিনটি।
সরকারি হাসপাতালের মেশিন সংকটের সতত্য স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের নির্মানাধীন নতুন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় নুতন এক্সরে মেশিনটি স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া নতুন একটি এ্যানালাইজার মেশিন সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি চিঠি দিয়েছি।
শিমুল হাছান