তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তামাকপণ্যের প্যাকেট ও কৌটার উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এনটিসিসি এক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হতে সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেট, কার্টন বা কৌটার উপরিভাগের অন্যূন ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ ব্যতীত কোন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বাজারজাত করা যাবে না।
একইসাথে এ সংক্রান্ত পূর্বের প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিটিও বাতিল করা হয়েছে। গত ০৪ জুলাই ২০১৭ তারিখে এনটিসিসি এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তামাকবিরোধী আন্দোলনকর্মীদের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং গণমাধ্যম বিশেষ করে এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র জোরালো অবস্থান এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এনটিসিসি’র ইতিবাচক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ১০ ধারা অনুযায়ী সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের উপরের অংশে ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিসিএমএ)-এর হস্তক্ষেপের কারণে আইন মন্ত্রণালয় তামাকপণ্যের প্যাকেটের নিম্নভাগে ৫০ শতাংশ স্থান জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের সাময়িক অনুমতি প্রদান করলে সরকারের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল গত বছরের ১৬ মার্চ এসংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের এই আইনবিরোধী মতামতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বেসরকারি সংস্থা উবিনিগ (প্রা.) লিমিটেড, প্রজ্ঞা এবং ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠন এসংক্রান্ত একটি রিট আবেদন করলে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
পরবর্তীতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮: ৩০ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ