শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগ ও পৌর যুবলীগের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদ আছর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এই আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল বলেন, নূর হোসেন তেমন ‘শিক্ষিত’ও ছিলেন না। সম্ভবত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলো। পেশায় ছিলেন মোটরশ্রমিক। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না তিনি। কিন্তু তিনি নিজের জীবন উৎসর্গের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মিছিলে যোগদান করেন নূর হোসেন। তাঁর বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। ওই মিছিলে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাশে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং মাত্র ২৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। অবশেষে পদ্মা-যমুনার অনেক জল সাগরে গড়ানোর পর দেশের মানুষ ও রাজনীতিবিদেরা সাব্যস্ত করেছেন, নূর হোসেন দেশ ও দশের জন্য ‘শহীদ’ হয়েছেন। সেই থেকে ১০ নভেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। আর জিরো পয়েন্ট, যেখানে নূর হোসেন নিহত হয়েছিলেন, সেই জায়গার নাম রাখা হয় নূর হোসেন চত্বর।
আলোচনা সভায় চাঁদপুর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর আবদুল মালেক শেখ এর সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম মিয়াজির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন, জেলা পরিষদের সদস্য মুকবুল হোসেন মিয়াজী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোতালেব, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোরশেদ আলম মিয়া, পৌর যুবলীগের নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান টিটু ভূঁইয়া, আশিকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সেলিম মাল প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা মাও. আলমগীর হোসেন। এসময় সদর উপজেলা যুবলীগ ও পৌর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১০ নভেম্বর ২০২০