রাজনীতি

বিএনপির ৭ দফা

সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে অক্টোবর মাসে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দুই দিন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লক্ষ্য ও কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘আমরা ৭ দফা যে দাবি দিলাম, এ দাবিতে এই কর্মসূচি দিচ্ছি। এরপরে পর্যায়ক্রমে আমরা আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ৩ অক্টোবর জেলা শহরে সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি এবং পরদিন ৪ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।

ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারকে বাধ্য করব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে এবং আমাদের যেসমস্ত নেতা-কর্মী বন্দি রয়েছে তাদের মুক্তি দিতে।’

রবিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভায় নেতারা আরো বলেন, আতঙ্কিত হয়েই সরকার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে।

রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮) দুপুরে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সভাস্থলে আসতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পাশাপাশি রাজধানীর আশপাশের জেলা থেকেও সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।

পরে বিকেলে বক্তব্য রাখেন দলের শীর্ষ নেতারা। জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে বলেও দাবি জানান তারা। সমাবেশ শেষে ৭ দফা তুলে ধরে অক্টোবর মাসে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেতারা।

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, এই ডিজিটাল নিরপত্তা আইন আমরা ৭ দিনের মধ্যে বাতিল করে দেব। আপনারা যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রতিহত করেন, আমরাও আপনাদের প্রতিহত করবো।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তারেক রহমানসহ সব রাজবন্দী এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’ (কালের কন্ঠ)

Share