আগামি ১৩ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। কথ্য ভাষায় একে আমরা কোরবানীর ঈদও বলে থাকি। চাঁদপুরের ৭ পৌর এলাকায় যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জবাই করা পশুর বর্জ্য শুকিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ানো পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রত্যেকেরই উচিৎ নিজ নিজ দায়িত্বে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করা ।
২৮ আগস্ট ২০১৬ জেলা প্রশাসনের এক সভায় আসন্ন ঈদুল আযহায় পশু নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত অন্যকোনো স্থানে কোরবানির পশু জবাই না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্ন্য়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ৪ মে’র সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেন।
ওই সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পৌর মেয়রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চাদঁপুর জেলায় ৭ পৌরসভায় ১শ’ ২০ টি পশুজবাইয়ের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর পৌরসভায় ৩০টি, হাজীগঞ্জে ৯টি, মতলবে ২৪টি,ছেংগারচর ৯টি,ফরিদগঞ্জে ২৪ টি ও কচুয়ায় ২৪ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি কোরবানি দাতাদের তালিকা প্রস্তুত, কোরবানির পশুজবাইকারী ইমামগণের নামের তালিকা ও পশু কোরবানির কার্যক্রমের ভিডিওচিত্র ধারণেরও নির্দেশ রয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে আমরাও সাধুবাদ জানাই ।
আমরা আশা করি, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে কোরবানিদাতাগণ সরকারি নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে চলবেন। এর ফলে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না ।
সম্পাদকীয় : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:০০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ