পোষা বিড়াল স্বাস্থ্যের যেসব উপকারে আসে

অনেকেই ধারণা করেন বাড়িতে বিড়াল বা কুকুর পোশা স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য খারাপ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা ভালো। এটি আপনার একাকিত্বে যেমন সঙ্গী তেমনি স্বাস্থ্যর পক্ষেও উপকারী।

এক গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে মানুষ এবং পোষা প্রাণির মধ্যে থাকা বন্ধু সুলভ সম্পর্ক মানুষের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।

কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে :
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বাড়িতে বিড়াল বা কুকুর পোষেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষমতা অন্যদের থেকে তলনামূলক ৩০-৪০% কম থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :
যারা বাড়িতে বিড়াল বা কুকুর পুষে থাকেন তারা তুলনামুলক অন্যদের তুলনায় বেশি হাসিখুশি থাকেন। এতে তাদের সামাজিক, মানসিক অবস্থার উন্নতি হয় যা তাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দৃঢ় করে তোলে। যা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এলার্জি এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা এড়িয়ে চলুন :
পোষা প্রাণিকে ঘিরে বড় হওয়া শিশুদের তুলনামুলক এলার্জি এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কম হয়ে থাকে। তাদের মাঝে শিশু অবস্থা থেকেই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে :
নিউইয়র্কের স্টেট ইউনির্ভাসিটি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বাড়িতে বিড়াল আছে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা অন্যদের বেলায় কম ঘটে থাকে। পোষা প্রাণির পিছনে তাদের শ্রম এবং অবসর সময়ে খেলা করা এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মূল।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় :
গৃহপালিত প্রাণির সাথে সময় কাটলে মানোষিক অবস্থার উন্নতি হয়। যা আপনাকে রাখে হাস্যজ্জ্বল এবং কমায় স্ট্রোকের ঝুঁকি।

উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ চাপ কমায় :
কর্মব্যস্ত সারাদিনের শেষে আপনার পোষা প্রাণিটির সাথে আপনার কাটানো সময় আপনার ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ দুটোই কমিয়ে দেয়। যা আপনার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আপনাকে রাখে সুস্থ ।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:০০ এএম, ৯ জুলাই ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Share