সারাদেশ

‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই’

রাজধানীর বর্তমান খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৬ টাকায়। এ মূল্য মফস্বল কিংবা জেলা শহরে তার চেয়ে একটু বেশি। রমজান আসার পূর্বেই এ মূল্য ক্রেতাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে।

গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়, আমদানি করা পেয়াজ ২৮ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসাব মতে, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৩৮ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২০-৩০ টাকা। টিসিবি’র হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৭.৬৫ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।

পেঁয়াজের দাম কী কারণে বাড়ছে এ বিষয়ে একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে তারা এ সম্পর্কে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে দু’একজন বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ করে সংকট দেখাচ্ছে। আর এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছেতো বাড়ছেই।’

শ্যামবাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের গোডাউনে খোঁজ নিলে মজুদ করা পেঁয়াজ দেখা যাবে। অথচ পেঁয়াজের দর বাড়তি।’ বড় ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিলে ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না বলে মনে করেন তিনি।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬৫ ‍টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়। যদিও আগের সপ্তাহে প্রতিহালি ডিম ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়ে অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডালের ১০০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

বাজারে বেশির ভাগ কাঁচাপণ্যের দাম বেড়েছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, শশা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, ধুন্দুল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, শালগম ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, লতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, টমেটো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, করলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, উচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৪০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৪:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share