চাঁদপুরে ২১ হাজার টাকার ইলিশ নিয়ে উধাও ‘ভুয়া পুলিশ’

চাঁদপুরে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মাঝারি আকারের ২০টি ইলিশ মাছ নিয়ে চম্পট দিয়েছেন এক প্রতারক। মাছগুলোর বর্তমান মূল্য ২১ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এমন প্রতারণার শিকার হন যুবরাজ নামে এক মাছবিক্রেতা। তিনি চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছঘাটে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ আড়তের কর্মচারী।

ভুক্তোভোগী যুবরাজ জানান, সকালে মাছঘাটে এসে নিজেকে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মুরাদ নামে পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। গুণে গুণে মাঝারি আকারের ২০টি ইলিশ ব্যাগে ভরেন। দাম নির্ধারণ হয় ২১ হাজার টাকা। এতো টাকা সঙ্গে নেই বলে জানান মুরাদ। থানায় গিয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন বলে মাছসহ তাকে সঙ্গে নিয়ে যান মুরাদ। থানায় পৌঁছে সেখানে অবস্থিত ক্যান্টিনের সামনে ইলিশগুলো দুটি ব্যাগে রাখেন যুবরাজ।

এ সময় আরও কিছু ইলিশ লাগবে এমন কথা বলে যুবরাজকে মাছ আনতে পাঠান মুরাদ। কথা মতো আড়ত থেকে আরও কিছু ইলিশ নিয়ে থানায় ফিরে যুবরাজ দেখেন, ২১ হাজার টাকায় ইলিশ কেনা ওই ব্যক্তি নেই। বহু খোঁজাখুঁজির পর ওই ‘পুলিশ সদস্য’কে না পেয়ে অবশেষে খান এন্টারপ্রাইজের মালিক বিপ্লব খানকে জানান যুবরাজ। তিনি থানায় ছুটে গিয়ে যখন জানতে পারেন মুরাদ নামে কোনো পুলিশ সদস্য নেই চাঁদপুর থানায় তখন মাথায় হাত দেওয়া আর কিছুই করার থাকেনি।

ঘটনা জানার পর পরই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে বসেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাতে ধরা পড়ে ইলিশ নিয়ে পালানো ব্যক্তির চেহারা।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, পুলিশ পরিচয়ে ইলিশ নিয়ে চম্পট দেওয়া এই ব্যক্তি বড় ধরনের প্রতারক। তিনি পুলিশ নন। মুরাদ নামে তার থানায় উপপরিদর্শক পদে কেউ নেই। এমনকি এই নামে কোনো স্টাফও নেই।

সিসিটিভির ফুটেজ থেকে ওই প্রতারকের ছবি সংগ্রহ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ। প্রতারক ‘ভুয়া পুলিশ’ কে ধরিয়ে দিতে অনুরোধ জানান নেটিজেনদের।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Share