চাঁদপুরে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ৩ সদস্যের তদন্ত টিম বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে শহরের কালিবাড়ি মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছেন।
এর আগে ১১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরোও ২শ’ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কুশম দেওয়ান, পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) এর সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুর কবির, ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টারে এএসপি মো. আবুল হোসেন মোড়ল।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ডিআইজি কুশম দেওয়ান বলেন, ‘২৩ জুনের ঘটনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ পর্যন্ত ৫৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন স্বাক্ষীকে যদি কোন হুমকি-ধমকী প্রদান করা হয় তাহলে তারা যেন আমাদেরকে জানায়। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ সময় সদর এসপি সার্কেল মো. আফজাল হোসেন, চাঁদপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়ালী উল্লাহ ওলি, ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান মোল্লা, ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর দেলোয়ার হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেল ৩ টায় তদন্ত কমিটি পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে এসে যানজট নিরসনে দায়িত্বরত রোভার স্কাউট সদস্যসহ প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন দোকানীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সেখান থেকে এই তদন্ত কমিটি চাঁদপুর মডেল থানা পরিদর্শন করেন। ঘটনার দিন আটককৃত মোটরসাইকেল গুলো বৈধ কিনা সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেন।
সবশেষে বিকেল ৪টায় পুলিশ লাইনস হলরুমে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় যে সব পুলিশ সদস্যরা শপথ চত্ত্বর এলাকায় কর্তব্যরত ছিলেন তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৫২, জিআর মামলা নং-৩২৬।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি ও মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ১০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ