পুরুষ ও নারী ফুটবলারদের বেতন-ভাতায় বৈষম্য কেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
পুরুষ ও নারী ফুটবলারদের মধ্যকার বেতন, সুবিধা ও সুযোগের বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজীউদ্দীন আহমেদর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া বিনতে তানভীর ও ব্যারিস্টার আরিজা মেহেলী খান রিটটি করেছিলেন।
শুনানিতে ব্যারিস্টার সুমাইয়া আদালতকে বলেন, “বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বস্তরে বৈষম্য গভীরভাবে বিদ্যমান।”
তিনি যোগ করেন, “পুরুষ খেলোয়াড়রা যেখানে বছরে ৫০-৬০ লাখ টাকা বেতন পান, সেখানে নারী ফুটবলাররা বছরে মাত্র ৬-৭ লাখ টাকা উপার্জন করেন এবং সেই বেতনও নিয়মিত নয়। নারী খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধারও অভাব রয়েছে এবং তাদের জন্য কোনো নিয়মিত ফুটবল লিগের ব্যবস্থা নেই।”
ব্যারিস্টার সুমাইয়া যুক্তি দেন, “পুরুষ ফুটবলাররা ম্যাচ জিতলে প্রণোদনা হিসেবে ৫ লাখ টাকা পেলেও নারী ফুটবলাররা পান শুধু নামমাত্র পুরস্কার।”
তিনি আরও বলেন, “নারী জাতীয় ফুটবল দল গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পরও প্রতিশ্রুত ১.৫ কোটি টাকার প্রণোদনা এখনও তাদেরকে দেওয়া হয়নি।”
যোগাযোগ করা হলে ব্যারিস্টার সুমাইয়া জানান, “আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
তথ্যসূত্র: অনলাইন ডেস্ক