চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায়নন্দী।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে পুরানবাজার হরিসভা মন্দির পরিদর্শন কালে ওই এলাকার মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা
পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধেঁর হরিসভা এলাকা ব্যাপক ভাঙ্গনের খবর শুনে আমি তা’ সরোজমিনে দেখতে এসেছি। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধেঁ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার পর ও আমি এ শহররক্ষা বাঁধ দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগা করে দ্রুত কাজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ঠিকাদার যাতে ভাল ভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ করে সেদিকে নজর রাখা হবে।
এসময় তার সাথে ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ করমধু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বানিজ্যি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়র আ. রব ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফেরদৌস মোরর্শেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আতাউর রহমান পাটওয়ারী, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শরীফ আহমে,
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনা নদীর তীব্র ¯্রােত আর বড় বড় ঢেউয়ের কারণে শহর রক্ষা বাঁধে ১শ’ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ী এখন ভাঙনের হুমকির মুখে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে এ ফাটল দেখা দেয়। এদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ক্রমান্বয়ে ফাটল বড় আকার ধারণ করছে।
হুমকির মুখে পড়া পরিবারের সদস্য দীপক দে জানান, সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে বাঁধের সিসি ব্লকগুলো ফাঁক হতে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে বড় আকারের ফাটল সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক স্থানে এ ফাটল দেখা দিয়ে আস্তে আস্তে দীর্ঘ হচ্ছে।
২০১৬ সালে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এলাকার ১২টি বসত ঘর ভেঙে পেছনে নিয়ে আসে। এরপর বাঁধের সংস্কার কাজ করেন। কিন্তু সংস্কার কাজের ৯ মাসের মধ্যেই আবার ফাটল দেখা দিয়েছে।
আরেক বাসিন্দা কমল জানান, ৫০ ফুট পশ্চিমে আমার ঘর ছিলো। আমার ঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে গেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ মান সম্মত না করায় পুনরায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রায় ১শ’ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভাঙ্গণস্থলে বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে ফাটল রোধ করা হবে। নদীতে তীব্র ¯্রােত আর ঢেউ এর কারণেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ০৭ : ৫৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur