চাঁদপুর

পুরাণবাজারে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

চাঁদপুর পুরাণবাজারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘আমাদের ধারাবাহিক পথচলার ৫০ বছর’ এই শ্লোগানে মাসব্যাপী কর্মসূচির নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চিত্রাংঙ্কন ও সুন্দর হাতের লেখার পর, এবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় পুরাণবাজার মার্চেন্টস একাডেমীতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণ করে। এতে তিনটি বিভাগে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর মুক্তিফৌজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি লেখক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন ও গর্বে বিষয়। মাতৃভাষা দাবীতে সেদিন আমাদের ভাষা সৈনিকেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তাদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি। মাকে মা আর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারছি। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবসটি পালন করা হয়।

বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতি সারা পৃথিবীতে বীরের জাতি হিসেবে অনেক উচ্চতায় রয়েছে। কারণ আমরাই একমাত্র ভাষা এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি। তাই ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও গর্বের সাথে স্মরণ করতে হবে।

তারা আরো বলেন, তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছ তাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন পতাকা ও স্বার্ধীন মানচিত্র এনে দিয়েছেন। আজকে তার সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা তোমাদের একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
একুশ উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ও পুরাণবাজার মার্চেন্টস একাডেমীর অধ্যক্ষ শতাব্দি আচার্যির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের সমন্বয়ক ও প্রক্তন শিক্ষিকা কল্পনা সরকার,একুশ উদযাপন পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী, জাহাঙ্গির হোসেন, প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন খান শিপন, সদস্য সচিব ধ্রুব রাজ বণিক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াকুব বিন সায়েদ লিটন। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন, নাট্য নির্দেশক আক্রাম খান, আবৃত্তিশিল্পী অভিজিৎ আচার্যী, আবু বকর সিদ্দিক, কণ্ঠশিল্পী ক্ষমা বণিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিক খান, মানবাধিকারকর্মী শেখ মহসিন, মার্চেন্টস একাডেমীর শিক্ষক কার্তক পাল, উম্মে সালমা, মীরা পাল, মো. মাহাবুব গাজী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, পুতুল রাণী, ২নং বালিকা (সি-হল) এর শিক্ষক উত্তর প্রসাদ, ২নং বালক সপ্রবি’র শিক্ষক লিজাসহ একুশ উদযাপন পরিষদের অন্যান্য কর্মকতা ও সদস্যগণ।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share