চাঁদপুর

পুরণাবাজারে মাসব্যাপি বিজয় উৎসবের সূচনা

চাঁদপুর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরণাবাজারে মাসব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের সূচনা শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে মধুসূূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করা হয়েছে।

আগামি ৫ তারিখ থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হবে।

অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবের শুভ সূচনা উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তেলন, শান্তি পায়রা উড়ানো ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নব-নির্বাচিত চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী।

বিজয় উৎসব স্টিয়ারিং কমিটির মহাসচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষের সভাপতিত্বে ও উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ব্যাংকার মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিকের যৌথ পরিচালনয় অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মো. বাবর, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দ্বিন মোহাম্মদ বকাউল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্না পাটওয়ারী, ওমর পাটওয়ারী, পৌর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হক পাটওয়ারী, জেলা পরিষদের নির্বাচিত সাধারণ সদ্য মুকবুল হোসেন মিয়াজী, পৌরসভার কাউন্সিলর নাছির আহমেদ চোকদার, মহিলা কাউন্সিলর শাহনাজ আলমগীর, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মো. পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেস মল্লিক, ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমার বাদল, উৎসব উদযাপন ষ্টেয়ারিং কমিটির সদস্য ফয়েজ আহমেদ মন্টু, উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ ওচমান গণি বলেন, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এদেশের স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হয়। এর পরে ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ প্রাণ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানচিত্র অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে পাকিস্তানের দালাল ও স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা আমাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের ভূল ইতিহাস শিখিয়েছে। আজকে আমরা বিজয় উৎস্ব করছি। এই উৎসব করার মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষে দল দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দূর্বার গতিতে উন্নয়নের সোপানে চরে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি অপশক্তি এখানো তৎপর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী ও অপশক্তির ঠাই হতে পারে না। এজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যদ্ধ থাতকে হবে।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৫ : ০০ এএম, ১ জানুয়ারি ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share