দীর্ঘদিন বিরতির পর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আবারো ২জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরা হচ্ছেন কলাকান্দা ইউপি সচিব (৪৫) ও বড় মরাদন এলাকার এক যুবক (৩০)। শনিবার দুপুরে তাদের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে।
এরমধ্যে ইউপি সচিব গত ৫ মে থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আইসোলেশানে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নুশরাত জাহান মিথেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫জন। এর মধ্যে পূর্বে আক্রান্ত ৩জন’ই সুস্থ হয়েছেন। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আসাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.মেহেদী হাসান সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফেরার পর পূনরায় তার করোনা রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে। সে এখন বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, বড় মরাদন এলাকার এক যুবক করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আসে গত ৭ মে তার নমুনা সংগ্রহ কওে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (এমটিইপিআই) ভাষান চন্দ্র কীর্তনীয়া। তিনি চাঁদপুরের বাবুরহাট থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে এলাকায় আসেন। অপরদিকে ইউপি সচিব করোনা উপসর্গ নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন গত ৫ মে। এ দিন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি কিট সংকটের কারনে। গত ৭ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারও নমুনা সংগ্রহ করেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (এমটিইপিআই) ভাষান চন্দ্র কীর্তনীয়া। পরে তা ঢাকা আইডিসিইআর-এ পাঠানো হয়। যা ৯ মে শনিবার সকাল ১১ টার সময় তাদেও করোনা রিপর্টো পজিটিভ আসে।
সূত্র আরো জানায়, ইউপি সচিব নিজ ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অন্যদিকে বড় মরাদন এলাকার যুবক চাঁদপুর সদরের বাবুরহাট এলাকায় টেলিটক কোম্পানীতে চাকুরি করতেন। ৬ মে অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাড়ি যান ও ৭ মে নমুনা দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (এমটিইপিআই) ভাষান চন্দ্র কীর্তনীয়া তাদের নমুনা সংগ্রহ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল চাঁদপুরের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় মতলব উত্তরে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক৩জন আক্রান্ত হন। চিকিৎসার পর তারা সবাই সুস্থ হয়েছে।
প্রতিবেদক : খান মোহাম্মদ কামাল, ৯ মে ২০২০