ফরিদগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ অবাধে বিক্রি চলছে। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেই প্রতিদিন অবাধে বিক্রি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

উপজেলার পুকুর থেকে শুরু করে ধানের সাথে মাছ চাষ প্রজেক্ট গুলোতে দিন দিন এ নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ফরিদগঞ্জ সদর বাজারের মৎস্য আড়ৎ,ভাঁটিয়ালপুর চৌরাস্তা মৎস্য আড়ৎ, গল্লাক বাজার মৎস্য অড়তে অবাধে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা আড়ৎ থেকে ক্রয় করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ফেরী করে এই নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি করছে।

পিরানহা মাছ চাষ ও বিপনণ আইনত অপরাধ। তাছাড়া চিকিৎসকদের মতে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরও বটে। তাই এ মাছটি চাষ ও বিপনণ কারীদের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধানও রয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলা সদরের সোনালী মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, পিকআপ বেনে ট্রেতে করে আনা হয় পিরানহা মাছ। একই চিত্র উপজেলার অপরাপর মৎস্য আড়ৎগুলোতেও দেখা গেছে।

সোনালী মৎস্য আড়তের কেরানী শ্যামল ছবি তুলতে দেখে এ প্রতিনিধিকে বারণ করে বলেন, এত সকালে কে বলছে বাজারে আসতে আপনাদের এই বলে উক্তিও করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসা: ফারহানা আক্তার রুমা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, পিরানহা মাছ চাষ ও বিক্রি বেআইনী । লকডাউনের পর ইউএনও’র সাথে পরামর্শ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, মানব দেহের জন্য পিরানহা মাছটি ক্ষতিকর বিধায় আইন করেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবো।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন এলাকার রাক্ষুসে মাছ পিরানহা। হাঙ্গরের ন্যায় দাঁত বিশিষ্ট অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এ মাছ জলজ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে। এরা দলবদ্ধ আক্রমণ নিমিষেই মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে সক্ষম।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১২ জুলাই ২০২১

Share