আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘পিকে হালদার বাংলাদেশে ওয়ান্টেড ব্যক্তিত্ব। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁকে অনেক দিন ধরেই চাচ্ছি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আমাদের এখনো অফিশিয়ালি কিছু আসেনাই। আমাদের যা কাজ আমরা আইনগতভাবে করব।’
১৫ মে রোববার বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর ভয়ংকর দিনটিকে বাংলাদেশের কেউই কখনো ভুলবেনা। এটার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান করা যায় কি-না। বিদেশে গেলে এখন আমরা বলতে পারি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু যে কাজগুলো করে যেতে পারেননি সেগুলোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ফুল বক্সে পরিণত হয়েছে। আমরা সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি।’
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এটা আর বাংলাদেশ ছিল না, এটা পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা আসলে পূর্ব পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেছেন। পরে তিনি বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণ করেছেন। ৭৫ এ আমরা বাংলাদেশ আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সাম্প্রদায়িকতা বনে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই জায়গা থেকে মুক্ত করে তুলেছেন। বাংলাদেশ এখনো মুক্তবুদ্ধির জয়গান গাচ্ছে। মৌলবাদী রাষ্ট্র হয়ে যাওয়ার পর তিনি তা বাঁচালেন। শেখ হাসিনা এই দেশকে সুন্দরভাবে পূর্ণগঠন করেছেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠিনতম পরিস্থিতিতে হাল ধরেছেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর। দুই সন্তানের এই বাঙালি মা আওয়ামী লীগের মতো একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে মোটাদাগের তার বড় অর্জনগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করা দরকার।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ্ আজম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বর্তা কক্ষ, ১৫ মে ২০২২