সারাদেশ

পিএসসির আদলে হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা কমিশন

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরের বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আরও স্বচ্ছতা আনতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে একটি ‘স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ গঠন করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য মন্ত্রণালয়টির একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠিত এ কমিটিকে ২৫ মার্চের মধ্যে কমিশনের আইনগত কাঠামো এবং একটি রূপরেখা দাঁড় করাতে বলা হয়েছে। কমিটি ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’র আলোকে আইনের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত সংবিধিবদ্ধ একটি স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনের আইনগত কাঠামো তৈরি করবে।

মঙ্গলবার ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ কমিটি গঠন করেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে আহ্বায়ক করা এ কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগের উপ-সচিব (আইন)।

এছাড়াও সদস্য হিসেবে থাকছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব পদ মর্যাদার একজন প্রতিনিধি,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক,কারিগরি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক খালেদা আক্তার বলেন, খুব শিগগিরিই কমিটির প্রথম সভা ডাকা হবে। আশা করছি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আইনি দিক বিবেচনা করে একটি রূপরেখা জমা দিতে পারব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে এক সময় নৈরাজ্য পরিস্থিতি ছিল। স্কুল কমিটি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের চাপে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হতো। এ নৈরাজ্য বন্ধ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গঠন করা হয়।

২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হলেও, এতে আরও স্বচ্ছতা আনতে এ কমিশন গঠন করা হচ্ছে। এ কমিশন গঠিত হলে ‘জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন সব ধরনের শিক্ষক নিয়োগ দেবে জাতীয় শিক্ষা কমিশন।

জানা গেছে,এ কমিশন গঠনের জন্য আরও তিন বছর আগে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তোড়জোড় শুরু করলেও নানা কারণে তা আটকে যায়। ওই সময় বলা হয়েছিলো, পিএসসির আদলে স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন করা হবে। এ কমিশনের কাজ হবে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া।

বর্তমানে সরকারি কলেজ ও হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় পিএসসির মাধ্যমে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকা ব্রুরো চীফ , ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share