খেলাধুলা

পিএসএল ফাইনালে তামিমের লাহোর

পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে উঠে গেছে তামিম ইকবালের দল লাহোর কালান্দার্স। দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে মুলতান সুলতানসকে ২৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাহোর।

১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শিরোপার লড়াইয়ে করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে লাহোর। দুইটি দলই প্রথমবারের মতো উঠেছে ফাইনালে। এছাড়া পাকিস্তানের ঘরোয়া খেলাধুলায় লাহোর ও করাচির প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেশ পুরনো। তাই এক জমজমাট ফাইনালের আশায় ভক্ত-সমর্থকরা।

রোববার রাতে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে আগে ব্যাট করে তামিম ইকবাল ও ডেভিড উইসের ঝড়ে ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় লাহোর। জবাবে নিজের ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতেই ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে মুলতান। ব্যাটে ঝড় তোলার পর বল হাতেও ৩ উইকেট নিয়েছেন উইস।

পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে দারুণ শুরুর পর ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান তামিম। সংক্ষিপ্ত এ ইনিংসে ২ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কাও হাঁকান তিনি। ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচেও।

মুলতানের বিপক্ষে তামিমের ব্যাটিং ছিল আরও দায়িত্বশীল, বোঝা যাচ্ছিল বড় কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই নেমেছেন তিনি। কিন্তু ৪.৫ ওভারের বেশি খেলতে পারেননি। জুনায়েদ খানের বলে টপ এজে আউট হওয়ার আগে ৫ চারের মারে ২০ বলে ৩০ রান করেছেন তামিম।

অর্থাৎ দুই ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৪৮ রান, ছিল ৭ চার ও ১টি ছয়ের মার। ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে মঙ্গলবারের ফাইনালে নিশ্চয়ই ইনিংস বড় করার মিশন নিয়ে নামবেন দেশসেরা এ ওপেনার।

তামিমের ব্যাটে ঝড়ো সূচনা পেলেও লাহোরের জয়ের মূল কারিগর ডেভিড উইস। তামিমের ৩০ ছাড়াও স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আরেক ওপেনার ফাখর জামান করেন ৩৬ বলে ৪৬ রান। বাকিরা ব্যর্থ হলে ১৫ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৫ রান।

সেখান থেকে শেষের ৫ ওভারে আরও ৬৭ রান পায় লাহোর। যার পুরো অবদান উইসের। ইনিংসের শেষ দুই বলে জোড়া ছক্কাসহ মাত্র ২১ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন উইস। তার ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় লাহোর।

১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন মুলতানের দুই ওপেনার জিসান আশরাফ ও অ্যাডাম লাইথ। মাত্র ২৬ বলে দুজনে যোগ করেন ৪৭ রান। জিসান ফিরে গেলেও ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান লাইথ, মাত্র ২৮ বলে পূরণ করেন ব্যক্তিগত ফিফটি।

কিন্তু পঞ্চাশ পূরণের আর এক রানও করতে পারেননি লাইথ। তিনি ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫০ রান করে ফেরার পর ভেঙে পড়ে মুলতানের ইনিংস। চেষ্টা করেছিলেন খুশদিল শাহ। তবে তার ১৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস স্রেফ পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষপর্যন্ত ১৫৭ রানে থামে মুলতানের ইনিংস।

লাহোরের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও ডেভিড উইস। এছাড়া দিলবার হোসেন ও শাহিন আফ্রিদির শিকার ২টি করে উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ডেভিড উইস।

খেলাধুলা ডেস্ক,১৬ নভেম্বর ২০২০

Share