পায়ে হেঁটে ৪৭ দিনে টেকনাফ-তেঁতুলিয়া

তেঁতুলিয়া থেকে পায়ে হেঁটে ৪৭ দিনে সেন্টমাটিন পৌঁছেছেন জাহাঙ্গীর আলম শোভন নামের এক তরুণ। পর্যটন বছরে ‘দেশ দেখা’ স্লোগানে ১২ ফ্রেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

৪৭ দিন একটানা হেঁটে ২৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমানায় সর্বশেষ স্থান সেন্টমাটিনের ছেঁড়া দ্বীপে পৌঁছান। এ সময় তিনি লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। শোভনের এই ভ্রমণের মিডিয়া পার্টনার ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় নিউজপোর্টাল বাংলামেইল২৪ডটকম।

শোভন জানান, তিনি ২৮ মার্চ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের দক্ষিণ সীমানায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে গোলারচরে পৌঁছান। এর পরের দিন তিনি সেন্টমার্টিনে যান।

‘দেখবো বাংলাদেশ গড়বো বাংলাদেশ’ স্লোগান সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে তার পদযাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ সড়ক পথের এই যাত্রায় তিনি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তিনি দেশগড়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীতে অংশ নেন।

ভ্রমণের পুরোটা পথে শোভন শিশু নির্যাতন বন্ধ, লোকসাহিত্য সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, গাছ লাগানো, বাল্যবিবাহ রোধ ও মাদকবিরোধী জনমত গঠনে বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষের সাথে মাঠে ঘাটে বাজারে হাটে ও কলকারখানায় মত বিনিময় করেন। এর মাধ্যমে তিনি তার এই ভ্রমণকে সামাজিক কার্যক্রমে রূপ দেন। মোট ৪৭ দিনের যাত্রায় তিনি হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটেছেন।

এই দীর্ঘ সফর সফল ভাবে পূর্ণ হওয়ায় শোভন মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সঙ্গে তাকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন জেলায় আইন শৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শোভন বলেন, এই দীর্ঘ পথে হেঁটে চলার সময় আমার সঙ্গে থাকা মালামাল বহনের জন্য একটি বেবি স্ট্রলার বা ট্রলি ছিলো। আমি ভ্রমণের সময় কোথাও কোনো পরিবহনে উঠিনি।’

জাহাঙ্গীর আলম শোভনের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুঞা উপজেলায়। তার পিতা সুলতান আহমেদ একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা সখিনা আহমেদ গৃহিনী। শোভনের স্ত্রী তাহমিনা শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত। (সূত্র- বাংলামেইল)

Share