রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক দোকান কর্মচারীর পায়ুপথ দিয়ে পেটে বাতাস ঢোকানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোকান কর্মচারীর নাম মো. আতিয়ার।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আতিয়ারকে বুধবার(২৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাতাস ঢোকানোর অভিযোগে আতিয়ারের সহকর্মী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা দুজনই ভাটারা এলাকায় অবস্থিত আকতার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মুত্তাকিন জানান, আতিয়ার ও মামুন একসঙ্গে কাজ করতেন। মামুন রসিকতার ছলে আতিয়ারের পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করায়। এরপর আতিয়ার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর এই ঘটনার পর বিকেলে মামুনকে আটক করা হয়।
তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানান ওসি।
আটক মামুনের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বনাই গ্রামে।
প্রসংঙ্গত গত বছরের ৪ আগস্ট খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজে মলদ্বারে পাইপের মাধ্যমে হাওয়া ঢুকিয়ে কিশোর মো. রাকিব হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির রায় হয়েছে।
এরপর গত ২৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড কারখানায় সাগর বর্মণ (১০) নামের এক শিশু শ্রমিকের পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় সাগরের তিন কিশোর সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায়, তিনজন মিলে খেলার ছলে সাগরের পায়ুপথে মেশিন পরিষ্কার করার কম্প্রেসারের পাইপ দিয়ে শরীরে বাতাস ঢোকায়। একপর্যায়ে সাগর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সাগর বর্মণ মারা যায়।(এনটিভি.কম)
নিউজ ডেস্ক: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:২৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
এইউ