দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো এবারের নির্বাচনে না এলে বাটিচালান দিয়েও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচন সময় মতো হবে, যারা নির্বাচনে আসবে ভালো, না আসলে নির্বাচন ঠেকে থাকবে না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ। ৯ বছর ৫ মাসে আওয়ামীলীগ সরকারকে কিছইু করতে পারেননি, আর পারবেনও না। বিএনপিকে বলবো, আদালত খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। আমরা পাঠাই নি। পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে আসুন। আন্দোলন তো করতে পারবেন না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এসে জনগনের রায় মেনে নিন।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫৫ গ্রমের প্রায় ৯১.৭৮ কিলোমিটার এলাকায় ১৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের উদ্বোধনকালে ত্রাণ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি এখন হুঙ্কার দিচ্ছে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। উনার (খালেদা) মুক্তি আদালতের বিষয়। অক্টোবরে নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করবে। এটি বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপিকে জোর করে নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন,শেখ হাসিনার দল ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হয়েছে। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাইলে অবশ্যই আগামী নির্বাচলে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। জনগণের উন্নয়নের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বুঝা যাবে, আপনারা খালেদা জিয়ার কর্তৃক পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারার রাজনীতি চান,তারেক রহমানের হাওয়া ভবন চান? না কি শেখ হাসিানর মাধ্যমে উন্নয়নের ভবন চান, এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন চান।
ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) এমপি আরো বলেছেন, বিএনপি জামায়াত আন্দোলনের হুমকি দেয়। ৯ বছর চার মাসে যারা কিছু করতে পারেনি। তারা আর বাকী ৪ মাসে কি উল্টে ফেলবেন। তা জানা আছে। নিজেদের অস্তিত্ব যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় না। সেখানে কি আন্দোলন করবেন? দেশের টেলিভিশনগুলো বন্ধ করে দিলে আপনাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে উল্লেখ করে মায়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার একটাই ¯েøাগান ‘আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিব’। এই ভাবেই শেখ হাসিনার অধীনেই ২০১৮ সালের নির্বাচন হবে। যারা দেশের উন্নয়ন চায়, যারা দেশের শান্তি চায় তারা সবাই নির্বাচনে আসবে। আর যারা গণতন্ত্রকে বিশ^াস করেনা তারাই শুধু নির্বাচনে আসবে না। গণতন্ত্রকে বিশ^াস করেনা এমন কারো জন্য নির্বাচন থেকে থাকবে না।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যতীত কোনভাবেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি দেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। আমরা দেশের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। কাজেই আমাদের লক্ষ্য শুধু শহরেই নয় তৃণমূলের গ্রাম গঞ্জের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সেবা পৌঁছে দেয়া।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ২০১৯ আমাদের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। তখন শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে। আর ১৯৯৬ সালে আমরা ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম বিএনপি সেটা কমিয়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট করেছিল। এর ফলে নতুন করে ৬ হাজার ৩০৯টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে। অনুষ্ঠানে মতলবের জন্য পৃথকভাবে বিদ্যুতের গ্রিড স্থাপনে স্থানীয় জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ,,বাংলাদেশ আ’লীগের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য একেএম রিয়াজ উদ্দিন মানিক, মতলব দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীদুল ইসলাম, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, মতলব উত্তর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া, মতলব দক্ষিণ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী, সাদুল্যাপুর ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান আহমেদ মুন্সি, ফতেপুর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, মতলব দক্ষিণের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার, সৈয়দ মনজুর হোসেন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী একই স্থানে মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হানিফ দর্জি’র নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ২৫০জন নেতা-কর্মী, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মিয়ার নেতৃত্বে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শতাধিক বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে নেতাকর্মী ত্রাণ মন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এছাড়াও মতলব উত্তরের বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত ৬টি ব্রীজ-কালভার্ট উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মোহনপুর ইউপির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছুল হক চৌধুরী বাবুল, বৃহত্তর মতলব উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তমিজ উদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আ’লীগ নেতা আকাশ চন্দ্র ভৌমিক,উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান, আ’লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন মিয়া, আ’লীগ নেতা ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলে মোঃ আনিসুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মোঃ জহির,সাধারন সম্পাদক কাজী শরীফ, উপজেলা যুবলীগ নেতা হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, রাহুল চৌধুরী লুনা, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, গজরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ দর্জি, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার (সুভা), উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অখিল উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক হোসেন, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, গজরা ইাউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ ছানাউল্যাহ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আঃ ওয়াদুধ সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, সদস্য সচিব এড. আক্তারুজ্জামান, ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, সাদুল্যাপুর ইউুিনয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মিয়া, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী, আঃ মান্নান বেপারী, আল-আমিন সরকার, বোরহান উদ্দিন প্রধান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, মিল্লাতুন্নেছা মিলি, শিউলী বেগম, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা মোতালেব রাঢ়ী, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী, উপজেলঅ স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ সুমন দর্জি, গজরা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক : খান মোহাম্মদ কামাল