সারাদেশ

পালিয়ে যাওয়ার দায়ে প্রেমিকযুগলকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেচর ইউনিয়নের ঘাটকুল আব্দুল মান্নান মল্লিক কান্দি গ্রামের প্রেমিক যুগলকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুন্ডেচর ইউনিয়নের ঘাটকুল আব্দুল মান্নান মল্লিক কান্দি গ্রামের আসমত আলী খাঁর পুত্র স্বপন খাঁ (১৮) সাথে একই গ্রামের সোনা মিয়া ছৈয়ালের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী আইরিন আক্তার (১৩) সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারী তারা নতুন জীবন গড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কামাল হোসেন ও সুলতান মল্লিকের কাছে প্রেমিক যুগল ধরা পরে যায়।

পরে কামাল হোসেন ও সুলতান মল্লিকের যৌথভাবে উক্ত প্রেমিক যুগলদের অভিভাবকদেরকে খবর দেন। অভিভাবকদের আসতে দেরি দেখায় স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন ও সুলতান মল্লিকের নেতৃত্বে স্থানীয় কুন্ডের চর আব্দুল মান্নান মল্লিককান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিচার কার্য শুরু করেন।

এক পর্যায়ে প্রেমিক যুগলকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করেই ক্ষ্যান্ত হননি, তাদেরকে জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে প্রেমিক যুগল শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন। আজ প্রায় ১৪ দিন যাবৎ প্রেমিক যুগল অসুস্থ থাকায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারটি সামাজিক মিডিয়া ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে আসে।

প্রেমিক যুগলের অভিভাবক আসমত আলী খাঁ বলেন, প্রেমতো খারাপ কিছু নয়। আমার ছেলে গ্রামের একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে যার কারণে কামাল মেম্বার আমার ছেলে এবং মেয়েটাকে বেদম মারধর করেছে এবং গলায় জুতার মালা পড়িয়ে এলাকায় ঘুরিয়েছে। যা আমি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারিনি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করার কারণে তাদেরকে সামাজিক বিচার করা হয়েছে। আমি তাদের নির্যাতন করিনি।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০২:১০ অপরাহ্ন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার

এমআরআর

Share