পুরনো প্রেমিকের হাত ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেও রক্ষা হলো না দু’সন্তানের জননী ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পার। প্রেমিকের হাত ধরে সুদূর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে সিলেট শাহজালাল (র.) মাজারে এসে আশ্রয় নেন পুষ্পা।
এরপর মাজার থেকে চলে যান গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণে। পরে রহস্যজনক ঘোরাফেরার কারণে সোমবার রাতে স্থানীয় জনতা তাদেরকে তোলে দেন পুলিশের কাছে। মঙ্গলবার তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার কাসিমপুর গ্রামের ইউসুফ রানার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা (২২) ও একই থানার মহসিন তালুকদারের ছেলে ফাহাদ (২৮)। সোমবার রাতে পুলিশের হাতে আটকের পর মঙ্গলবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, পুষ্পা ও ফাহাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল মন দেয়া নেয়া। কিন্তু এতে বাধ সাধেন পুষ্পের নানি সালমা বেগম। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালিন জোরপূর্বক পুষ্পাকে অন্যজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পরও থামেনি পুষ্পা-ফাহাদের প্রেম। উল্টো সম্পর্ক আরো গভীর হয়। এদিকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া স্বামীর সংসারে পুষ্পার গর্ভে আসে জন্মগ্রহণ করে দু’জন কন্যা সন্তান। এরপরও থামেনি পুষ্পা আর ফাহাদের প্রেম। একপর্যায়ে
প্রেমিক জুটি ঘর থেকে পালিয়ে আসে। তারা সোমবার সিলেটে এসে হযরত শাহজালাল (র,) এর মাজারে আসেন।
শাহজালার (র.) মাজার থেকে প্রেমিক জুটি চলে যান গোলাপগঞ্জে। সিলেট-ঢাকাদক্ষিণ সড়কের টিকরবাড়ি এলাকায় খাসিখাল ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে রহস্যজনক ঘোরাফেরা করার সময় এলাকার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন। এ সময় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মৃদুল ও এসআই আতিক একদল পুলিশ নিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটকের পর থানায় এ জুটি পুলিশকে জানায়, তারা অবিবাহিত। পরে পুলিশ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিলে মঙ্গলবার সকালে পুষ্পার নানি সালমা বেগম সকালে থানায় আসেন। তিনি পুলিশকে জানান, তার নাতি ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা এর সাথে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজাইরাম থানার ওলাকান্দি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সজল আহমদের সাথে বিবাহ হয় ২০১০ সালে ২৫ জানুয়ারি। বিবাহের পর তাদের সংসারে চলে আসে দু’কন্যা সন্তান সন্ধি আক্তার (৩) ও দেড় বছরের সুম্মিতা আক্তার। গোপনে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমে মগ্ন ছিল ফাহাদ ও ইয়াছমিন।
ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা পুলিশকে জানান, সংসারে তার সাথে স্বামীর অমিল রয়েছে। তাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।(সিলেটভিউ)
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur