দ্বিগুণ হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কার্ডের সংখ্যা। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,‘৫০ লাখ থেকে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১ কোটি করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কম আয়ের মানুষের জন্য চলমান সহায়তা কর্মসূচিতে বছরে ৫ মাস ১০ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায় পেয়ে উপকারভোগী বাড়ানোর বিষয়টির সারসংক্ষেপ নীতিগত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর থেকেই ১ কোটি মানুষ ১০ টাকায় চাল পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
বাজারে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলার অস্থির সময়ে স্বল্প আয়ের গ্রামীণ মানুষের জন্য বড় ধরনের স্বস্তির উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে কুড়িগ্রামে এ কর্মসূচির পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।
ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারনির্ধারিত দামে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশষ্য বিতরণ নীতিমালা ২০১৬ সংশোধন করে খাদ্যবান্ধব নীতিমালা ২০১৭ জারি করে খাদ্যমন্ত্রণালয়। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৫০ লাখ।
মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর,অক্টোবর ও নভেম্বর এ ৫ মাস সারা দেশের গ্রামীণ হতদরিদ্রদের মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার।
৫০ লাখের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ভুয়া কার্ড শনাক্ত করে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এরই মধ্যে। জালিয়াতি এড়াতে উপকারভোগীদের দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল কার্ড।
ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর,পৌর এলাকার কম আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস এর ট্রাক সেল এবং ২ হাজার ১৯ টি নির্ধারিত দোকানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল আর ১৮ টাকায় আটা বিক্রি করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এ মুহূর্তে সররকারের হাতে ১৩ লাখ টন চাল এবং ১ লাখ ৮০ হাজার টন গম মুজদ রয়েছে। আমদানির অপেক্ষায় আছে আরো ২ লাখ টন গম।
১৫ এপ্রিল ২০২২
এজি