মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের আড়াই হাজার কিলোমিটার জায়গায় ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার দুপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ কর্মসূচির কথা জানান।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর লক্ষ্যে ১ কোটি চারা রোপণ হচ্ছে। দেশের মোট বনভূমি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯ টি বিভাগের অধীনে প ২ হাজার ৫ শ’ কি.মি দৈর্ঘ্যে ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
তিনি বলেন, ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট দু’ ধাপে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ সব জেলাসমূহে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি তদারকি করবেন। প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসন,গণমাধ্যমের সদস্য,সুশীল সমাজ,স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
জাহিদ ফারুক বলেন, একটি গাছ সারাজীবনে কমপক্ষে ২.৫ লাখ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়,সকল দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাসমূহের অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের খাল-নদীতীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’
ব্রিফিংকালে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ.কে. এম.এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লাখ চারা রোপণের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন,‘ বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ প্রতিবেশ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করা হবে ‘
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১০ আগস্ট ২০২০