সেবা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৬২ ডিজিটাল সেবার উদ্বোধন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক,এমপি। রবিবার ৮ নভেম্বর সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
জাহিদ ফারুক বলেন, ‘মাত্র ২ সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের ১৬২ টি সেবাকে ডিজিটাল করা হয়েছে যা শুধু মন্ত্রণালয় নয় ,পুরো বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় এক যুগান্তকারী অর্জন।
মুজিববর্ষে এটা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপহার। ভবিষ্যতে আমাদের ডিজিটাল সেবা আরও বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় ডিজিটাল সেবা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমি আশাকরি ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশে উন্নীত হবো।’মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম,এমপি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবছর আমরা ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মোকাবেলা করেছি। সেবা ডিজিটাইজেশনে আমাদের কাজে আরও গতিশীলতা আনবে।’
প্রসঙ্গত, মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের ১২৯ টিসহ ১৬২টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। এতে সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজ দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতা নিজে ,৩৩৩ কল সেন্টারে কল করে অথবা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারবেন।
তাছাড়া অনেকক্ষেত্রেই সেবা গ্রহীতারা সেবা সংক্রান্ত তথ্যের অপ্রতুলতার জন্য সেবাগ্রহীতা এবং প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় হয়। অধিকন্তু, সেবার জন্য একাধিকবার একই স্থানে যাওয়া, অনেক দলিল দস্তাবেজের ব্যবহার ও সেবাগ্রহীতা সনাক্তকরণে জটিলতা ইত্যাদি জটিলতা প্রশাসনিক সেবা কাঠামোতো রয়েছে।
এই ব্যবস্থাপনার ফলে তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন, ছুটির আবেদন, পিআরএল অনুমোদনের আবেদন, মাতৃত্বকালীন ছুটি, লিয়েন আবেদন, চাকুরী স্থায়ীকরণ, বিভাগীয় মামলা,ইউটিলিটি বিলসহ ১৬২ সেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে। অধীনস্থ সংস্থাগুলোর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ টি, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২১ টি ,পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার ২৬ টি, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩০ টি,যৌথ নদী কমিশনের ২১ টি সেবা ডিজ়িটালাইজড করা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ, ৯ নভেম্বর ২০২০
এজি