Home / শীর্ষ সংবাদ / চাঁদপুর নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসে যা বললেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

চাঁদপুর নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসে যা বললেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

আজ ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চাঁদপুর পুরানবাজারের হরিসভা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সকাল ৭ টায় সোনারতরী লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি চাঁদপুর লঞ্চঘাটে উপস্থিত হন ।

সেখান থেকে স্পিডবোর্টে নরসিংহপুর ফেরী ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। যাবার পথে তিনি পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় ভাঙ্গন স্থানে নদী তীর প্রতিরক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে মেঘনা নদীতে টার্নেল বা সেতু নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন । আমরা শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পরবর্তী উদ্যোগ গ্রহণ করব।

জনাব একে এম এনামুল হক শামীম আরা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। সারাদেশে ১৬হাজার ৭০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। ৫ হাজার ৭শ’ ৫৭ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধ। এছাড়া আড়াই হাজার কিলোমিটার দূগ বাঁধ রয়েছে।

তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা চাঁদপুর ও আমার নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুরের অনেক এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ । আমরা বাংলাদেশের সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলি চিহ্নিত করেছি । সবগুলোতেই স্থায়ী প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের চাঁদপুর পুরান বাজারে রাতে যখন ভাঙ্গন শুরু হয়, তখন ভোরবেলায় আমি এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি। এবারও ইমাজেন্সি ওয়াক করে হরিসভাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।

চাঁদপুর শহরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্যই টেকনিক্যাল কমিটির পরিদর্শন। এ প্রকল্পটি একনেকের পাঠানো হবে।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পাঁচ-দশ বছরের জন্য প্রকল্প করতে চাইনা। কমপক্ষে ৫০ বছরের জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি আগামী বর্ষার আগেই আমরা শেষ করব।

এ সময় চাঁদপুর পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো.জহির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুরের তত্বাধায়ক প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদারসহ কয়েকজন উপ-বিভাগী প্রকৌশলীগণ।

বেলা সাড়ে ১১ টায় নরসিংহপুর ফেরী ঘাটে উপস্থিত হয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট এলাকার সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করবেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় তিনি শরীয়তপুরের চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করবেন। বিকেল ৩টায় বালাবাজার থেকে নরসিংহপুর ফেরি ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট হয়ে বোগদাদীয়া-৭ লঞ্চযোগে ঢাকা ফিরবেন।

আবদুল গনি , ২৪ নভেম্বর ২০২০