প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে লবণাক্ত পানির ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানোর জন্য আমরা গড়াই নদী খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে গড়াই নদী খনন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। পানি সম্পদ খাতে গত পাঁচ বছরে আমরা ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব ‘পানি দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯ প্রণয়ন করি, বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। এরইমধ্যে ৬৪ লাখ হেক্টর জমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ এলাকায় এনেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানির অন্যতম উৎস নদী। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের অনেক নদী। বিশ্বের অনেক দেশ আছে তাদের বৃষ্টি নেই, খাবার পানি নেই, নদীও নেই। সারা বছর তারা বৃষ্টির দেখা পায় না। সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক সৌভাগ্যবান।
তিনি বলেন, পানি বিশেষ করে সুপেয় পানির চাহিদা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে পানির ব্যবহারে যেন অপচয় না হয়। পানি ব্যবহারে যাতে মিতব্যয়ী হওয়া যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে বলেও সকলকে নির্দেশ দেন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ৪৫ এ .এম ২৭মার্চ,২০১৮মঙ্গলবার
এ.এস